
শরীয়তপুর জেলা সদরের পালং উত্তর বাজারে আজ (শুক্রবার) রাত ৪টার দিকে ভায়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবাসিক বাড়ি সহ প্রায় ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে মিষ্টির দোকানের দুই কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের জোয়ানরা। এর মধ্যে বিশ্বজিৎ নামে এক কলেজ ছাত্র পার্টাইম হিসেবে মিষ্টির দোকানে কাজ করতো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পালং মডেল থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে এখন যানা যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব রহমান শেখ জানায়, পালং উত্তর বাজারে হারুঘোষ মিষ্টান্ড ভান্ডার ও গোপাল ঘোষ সুইটমিট সহ আশপাশের স্বর্ণালংকার, কাশা-পিতল ও হার্ডওয়্যারের প্রায় ১৫টি দোকান সহ দুইটি আবাসিক বাড়ি পুড়ে গেছে। এ সময় গোপাল ঘোষ সুইটমিট এর দুই কর্মচারী পলাশ (২৫) ও বিশ্বজিৎ সরকার (২০) পুড়ে মারা গেছে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও জানা যায় নাই।
পালং বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বেপারী বলেন, অগ্নিকান্ডে প্রায় ১৮ থেকে ২০টি দোকান পুড়েগেছে। এ ঘটনায় মিষ্টির দোকানের কর্মচারী মাদারীপুর জেরার রাজৈর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের রবিন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে পলাশ ও একই গ্রামের রূপচাঁন সরকারের ছেলে কলেজ ছাত্র বিশ্বজিৎ পুড়ে মারা যায়। অগ্নিকান্ডে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ডামুড্যা ও গাসাইরহাট ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামা বলেন, রাত ৪টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হয়। প্রায় ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে ২টি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায় নাই।