গতকাল ১০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহখালী, ঢাকা এর আয়োজনে শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও পরিবেশের প্রভাব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর জেলার জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সোবহান, নড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুল ইসলাম, জাজিরা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদুল হাসান, ডামুড্যা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, গোসাইরহাট উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও শরীয়তপুরের বিভিন্ন শিক্ষা, সেবা সংস্থা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের প্রতিনিধি, এনজিও, বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের কর্মশালায় স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও পরিবেশের প্রভাব বিষয়ক ট্রেনিং নিয়ে আলোচনা করেন, ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ট্রেনিং এন্ড ফিল্ড অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া ও ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চীফ সহকারী মোঃ মোখলেছুর রহমান।
শরীয়তপুর সিভিল সার্জনের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহাবুবুর রহমানের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথিসহ বক্তারা স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করা। আমাদের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যত ধরনের কাজ করে থাকি সবগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত চিন্তাগুলো মাথায় রাখতে হবে। এজন্য আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত চিন্তা করতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে সুস্থ থাকার জন্য। আমাদের পরিবারকেও এ স্বাস্থ্য বিষয়ক কথাগুলো সম্বন্ধে জানাতে হবে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যালয় এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক বার্তাগুলো পৌছিয়ে দিতে হবে। এইভাবে যদি প্রতিটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সমাজ পরিবর্তন ও সচেতন হয়ে যায়, তাহলেই একটি স্বাস্থ্যসম্মত সমাজ আমরা উপহার দিতে পারব। আমাদের দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে আমরা বড় বড় রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। যাহা আমাদের কাম্য ছিল না। ছোট থেকেই বড় রোগের সৃষ্টি। যেমন- সময় মতো আহার না করা, আহার গ্রহণ করার সময় ভালো করে হাত না ধোয়া, খাদ্যে ভেজাল না দেওয়া, স্বাভাবিক অসুস্থ হলে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন না কর, নিজের দ্বারা যেন অন্যের ক্ষতি হয় এমন কাজ না করা ইত্যাদি স্বাস্থ্যস্মত বিষয়ে আলোচনা ও ট্রেনিং দেওয়া হয়।