
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিদিনের মতো এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য যাচ্ছিলেন। ২৭ এপ্রিল সোমবার মনিটরিং অভিযান পরিচালনাকালে বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে শিধলকুড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ঢালী বাড়ী মোড়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পান পায়েল ঢালী নামক এক দোকানদার দোকান খুলে আছেন। তখন এসিল্যান্ড দোকানদারের কাছে দোকান খোলার কারন জানতে চাইলে পায়েল ঢালী উল্টা পাল্টা কথা বলেন। এসিল্যান্ডের সাথে থাকা পুলিশ যখন তাকে ধরতে যায় তখন দোকানদার পায়েল ঢালী ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে এসিল্যান্ডের গাড়ীর সামনে গাছের গুড়ি ফেলে। পায়েল ঢালী শিধলকুড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ মতিন ঢালীর ছেলে।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা উপজেলার এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি মোবাইল কোর্ট করতে বের হয়ে দেখি দোকান খুলে রাখছে আর কিছু পোলাপান আড্ডা মারতেছে, এর আগেও দুই দিন ওর দোকানে আড্ডা চলছিল, তখন মোবাইল কোর্টে সাজা দিতে গেলে ও দৌড়ে পালিয়ে যায়। কালকে আবার দোকান থেকে নামতে বলি কিন্তু নামে না। তখন বলি না নামলে তোমাকে গ্রেফতার করবো এরকমভাবে ৪-৫ বার বলার পরেও সে নেমে আসেনি। তখন আমার সাথে থাকা এসআই ওকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ও ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। তখন আনুমানিক বেলা ১১ টা ৩০ মিনিট হবে। তারপর পুলিশ যখন ওকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসতে চায় তখন ওর ফ্যামিলির ও আশেপাশের ২০ জনের মতো মহিলা ওকে আনতে দিবে না বলে ধরে রাখে, পরে দুইটি ছেলে আমার গাড়ীর সামনে গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ ধমক দেওয়ার পরে গাছের গুড়ি সরিয়ে ফেলে। ওর নাম পায়েল ঢালী ওর বড় ভাই পিলখানা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। আমি উপজেলা নির্বাহী স্যারকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুইদ বলেন, ঘটনাটি আমি মাননীয় জেলা প্রশাসক স্যারকে জানিয়েছি, আজ বিকালে আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, এসিল্যান্ড মহোদয় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।