
গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মনিটরিং টিম অভিযান পরিচালনা করে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে। এ সময় খাবার তৈরী, বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা পঁচা-বাসি খাবার ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়। প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো শাকিল হোটেল, মায়ের দোয়া মাসুম বেকারী ও জসিম বেকারী। ২০ নভেম্বর এ অভিযান পরিচালনা করেন শরীয়তপুরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুজন কাজী।
ভোক্তা অধিকার কার্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা বাজার মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান কালে দেখা যায় বাজারে অবস্থিত সাকিল হোটেল খাদ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শণ না করে এবং অবৈধ উপায়ে পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করণ করছে। তখন ওই প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় ১ হাজার টাকা ও ৪৩ ধারায় ২ হাজার টাকা (মোট ৩ হাজার) জরিমানা করা হয়। একই সময় মায়ের দোয়া মাসুম বেকারী পণ্যের মোড়ক ব্যকহার না করে পণ্য বাজারজাত করণের অপরাধে ৩৭ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পরবর্তীতে জসিম বেকারীতে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা ও অবৈধ পক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদ ও বাজারজাত করণ চলছে। তখন ওই প্রতিষ্ঠনকে ৩৭ ধারায় ২ হাজার টাকা ও ৪২ ধারায় ৫ হাটার টাকা (মোট ৭ হাজার) টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়। এ সময় সংরক্ষিত বিপুল পরিমান পঁচা ও বাসি খাবার ধ্বংশ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিাকর অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলা কর্মকর্তা সুজন কাজী বলেন, শরীয়তপুরের বিভিন্ন হাটবাজারে পঁচা-বাসী, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার বিক্রি, ওজনে কম দিয়ে ক্রেতার সাথে প্রতারণা, ভেজার পন্য তৈরী করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মনিটরিং টিম পরিচালনা করে এসকল অপরাধ দমনের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি করছি। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।