শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

নড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

নড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

শরীয়তপুর নড়িয়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুটি বসত বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাপ ও বাড়িতে নারীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বসতঘরের মালামাল নিয়ে যায় স্থানীয় প্রতিপক্ষরা।

লুটপাট ও ভাঙচুর করে ওই বাড়ি থেকে স্টিলের আলমারী ভেঙ্গে নগদ ৫৭ হাজার টাকা ৫ ভুরি স্বর্ণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকালে প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে নড়িয়া উপজেলার জপসা জাকির খার কান্দি গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান মাদবরের বাড়িতে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নড়িয়া থানায় বাদসা মাদবর, বাবুল মাদবর,আবুল মাদবর, রাসেল মাদবর, মুজাফর মুন্সি নুর হোসেন মুন্সি সহ ১৩ জনের বিরোদ্ধে একটি মামলা হয়।

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার জপসা জাকির খার কান্দি গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান মাদবরের সাথে পার্শ্ববর্তী বাদসা মাদবরের জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার হামলা, পাল্টা হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি হাবিবুর রহমান মাদবর বিরোধপূর্ণ জমিতে ফসল তুলতে গেলে বাধা প্রদান করে বাদসা মাদবর। পরবর্তীতে বাদসা মাদবর আদালত থেকে বিরোধপূর্ণ জায়গায় ফসল যাতে তুলতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু বাদসা মাদবর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ফসল তুলতে যায়। এতে বাদসা মাদবর বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনার চলাকালে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাদসা মাদবরের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে হাবিবুর রহমান মাদবরের বাড়িতে। এ সময় তারা হাবিবুর রহমান মাদবরের স্ত্রীকে ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মেরে আহত করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ঘরের বিভিন্ন মালামাল নির্বিচারে ভাংচুর করে।

হাবিবুর রহমান মাদবরের স্ত্রী মারধরের শিকার উম্মে কুলসুম বলেন, দুপুরে হঠাৎ করে বাদসা মাদবরের নেতৃত্বে এলাকার ২৫-৩০ জন যুবক আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা সকলকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। তারা আমাদের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে সবকিছু ভাঙচুর শুরু করে। আমরা চিৎকার শুরু করলে আমার সাথে আমার জা আকলিমা বেগমকেও মারধর করে। প্রায় দুই ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে তারা স্টিলের আলমারিতে রাখা ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ সব কিছু নিয়ে চলে যায়।

বাড়িতে থাকা মজিবর রহমান মাদবর বলেন, এমনভাবে হামলা করা হয়েছে যা বর্ণনাতীত। বিলে তক্কাতক্কি হয়েছে, পরে তারা দৌড়াইয়া বাড়িতে এসে হামলা করে, আমি সামনে ছিলাম ছেনের ভয়ে সামনে যাই নাই। প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি বাড়ির লোকরা।

মামলার বাদী হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের যায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো, পরে স্থানীয়ভাবে সালিশবসে যার যার প্লট তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। হঠাৎ করে আমাদের সব জমিতে আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, এ বিষয় নিয়ে বাদসা মাদবরের সাথে আমার কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বাদশা মাদবরের ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে দেশীয় অস্ত্রপাতিসহ আমাকে দাওয়া করে আমাদের বাড়িতে উঠে ঘর ভাঙচুর লুটপাট এবং আমার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করে।

তবে হামলায় জড়িত নন দাবি করে অভিযুক্ত বাদসা মাদবর বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ফসল তুলতে আসলে তাকে আমরা বাঁধা দেই।

নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


error: Content is protected !!