
জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা ও পুলিশ কর্মকর্তার কলেজে পড়–য়া মেয়েকে উত্যাক্ত করার প্রতিবাদ করায় গতকাল রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সের পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে দূর্বিত্তরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদুল ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গাজীপুরের কোনাবাড়ি ছিলেন। দূর্বিত্তরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও কন্যা শাওনকে মারধর করে। এ সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে। পালং থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম আমেনা বেগম ও শাওনকে উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভার্তি করে।
স্থানীয় সূত্র ও ভিকটিম আমেনা বেগম জানায়, শরীয়তপুর পৌরসভার পূর্ব কাশোভোগ গ্রামের মৃত ইউনুছ আলী খানের বাড়িতে মেয়ে আমেনা বেগম ও জামাতা শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সের এসআই মাজেদুল ইসলাম ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। ভিকটিম আমেনার পিতা শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেম্বার মৃত ইউনুছ আলী খানের সাথে আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ. রব হাওলাদারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। একই বাড়িতে বসবাস করেও দুই পরিবারের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা থাকায় সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এ ছাড়াও আ. রব হাওলাদারের ছেলে মেহেদী হাওলাদার পুলিশ কর্মকর্তার কলেজ পড়–য়া মেয়ে শাওনকে উত্যেক্ত করে। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় সাধারণ ডাইরীও রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এসআই মাজেদুল পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গাজীপুরে ছিল। এ সুযোগে আ. রব হাওলাদার তার ছেলে মেহেদী, বাবু ও ইলিয়াসদের নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও কন্যা কে মারধর করে এবং ঘরে থানা নগদ ১ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পালং থানা পুলিশ ভিকটিমদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভার্তি করেছে।
পালং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে পালং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ভিকটিমদের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।