
শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্য নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ আহত হয়েছে।
সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের গ্রামের সিকান্দার আকনের ছেলে জাহাঙ্গীর আকন (৪০) ও মাদারীপুর রাজৈর থানার চাপাতলী গ্রামের মৃত আরশাদ আলী হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (৩২)। আহতরা হলেন, শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের এ এস আই সোহাগ, কনস্টেবল রাসেল ও মাসুম শেখ।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জমান জানান, ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ এজহারভুক্ত ওই দুই আসামীকে থাকা থেকে আটক করলে গত শুক্রবার (১১ জানুয়ারী) পালং থানা পুলিশ গিয়ে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। পরে মামলার অপর আসামী সোহেল ঘরামীমে ধরতে তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ও পালং মডেল থানার পুলিশ। গত রোববার (১৩ জানুয়ারী) দিনগত রাত আড়াইটার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে তাদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও অপর আসামীকে ধরার জন্য অভিযানে গেলে ওৎ পেতে থাকা ডাকাতদের সহযোগি অন্য ডাকাতরা পুলিশেল উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ডাকাত জাহাঙ্গীর ও রাসেল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষন করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সহযোগী ডাকাতরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তাদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল তল্লাশীকালে জাহাঙ্গীর ও রাসেলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তল্লাশী করে ১টি ওয়ান শুটারগান, ৯টি ককটেল, ৮টি রামদা, ২টি ছুরি, ৩টি চায়নিজ কুড়াল, এবং গ্রিল কাটার ১টি কেচি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষনিক গুলিবিদ্ধ দুজনকে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তারা একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী এবং আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চিহ্নিত সদস্য। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।