
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের করোনাকালেও শিক্ষা কর্মকর্তাদের চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঁদার টাকায় অফিসের আসবাবপত্র ক্রয় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে চাঁদা আদায় ও আসবাবপত্র ক্রয়ের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবগত নয় বলে দাবী করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, করোনার কারনে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এই মহামারির মধ্যেও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হামিদুল হক, ফারুক আলম ও নজরুল ইসলাম প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার করে টাকা চাঁদা আদায় করে তাদের ব্যক্তিগত চেয়ার-টেবিল ও ফাইল কেবিনেট কিনেছেন। এককথায় জোর করেই এই টাকা আদায় করা হয়েছে।
ডামুড্যা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। তিনটি ক্লাস্টারের মাধমে তিনজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছোবাহান মুন্সী, মিজানুর রহমান ও এমারত হোসেন বদলী হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তাদের পরিবর্তে সহকারী শিক্ষা অফিসার হামিদুল হক, ফারুক আলম ও নজরুল ইসলাম যোগদান করেছেন। নব যোগদানকৃতদের বসার কোন চেয়ার টেবিল ছিল না। তাই এই পদ্ধতিতে আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়েছে।
শিক্ষক নেতা হারুন অর রশিদ জানায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসের সৌন্ধর্য্য বৃদ্ধির জন্য আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়েছে। সেই ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহন করার জন্য আমরা টাকা দিয়েছি।
আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য আমরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। এখনও কোন বরাদ্দ পাই নাই বলে জানিয়েছেন অফিস সহকারী সানাউল্লাহ। সরকারী বরাদ্দকৃত টাকায় আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম। তবে কোন খাতে এবং কতটাকা বরাদ্দ পেয়েছেন তা তিনি জানাতে পারে নাই।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মর্জিনা পারভীন বলেন, শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় কারা ও অফিসে আসবাবপত্র ক্রয় করার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এখন খোঁজ নিয়ে দেখব।