
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় পাপিয়া (২২) নামে এক গৃহবধূকে তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পাপিয়াকে মৃত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। পাপিয়া ডামুড্যা উপজেলার চরমালগাও গ্রামের দুবাই প্রবাসী লিটন চৌকিদারের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চর জুশিরগাঁও গ্রামের ভবতোষ গন্নাইতের মেয়ে পাপিয়ার ৩ বছর আগে বিয়ে হয় ডামুড্যা উপজেলার চর মালগাও গ্রামের মৃত শুকচান চৌকিদারের ছেলে দুবাই প্রবাসী লিটন চৌকিদারের সাথে। লিটন বর্তমানে দুবাই আছে। বনিতা নামে তাদের ২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পাপিয়ার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বাশুড়ি ও দেবর-ননদ পাপিয়াকে জ্বালা যন্ত্রণাসহ নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন পাপিয়াকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
পাপিয়ার বাবা ভবতোষ গন্নাইত বলেন, সকাল ১০টার সময় পাপিয়ার শ্বশুড়ির বাড়ির এক প্রতিবেশী আমাকে ফোনে বলেন, আপনার মেয়েকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। মেয়েকে যদি দেখতে চান তাহলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যান। খবর পেয়ে আমরা সদর হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করি। পরে জানতে পারি মেয়ের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। শ্বশুড় বাড়ির লোকজন হাসপাতালে আমার মেয়ের লাশ রেখে চলে গেছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন এক মুহুর্ত শান্তিতে সংসার করতে দেয়নি। আমার মেয়েকে তারা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ তোফায়েল আহম্মদ বলেন, সকাল ৮টার সময় পাপিয়াকে তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পালং থানা পুলিশ এসে পাপিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।
ডামুড্যা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, পালং থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করেছে। বিষ পানে হত্যাকান্ড ঘটেছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশের গয়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে থানায় আসবে বলে জানিয়েছে।