
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ৮ বছরের এক শিশু ধর্ষণের বিচার করেছে সমাজপতিরা। এতে ধর্ষককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০টি জুতাপেটার রায় দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা মওকুফ করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় ও ১০টি জুতাপেটার আদেশ কার্যকর করে ধর্ষককে খালাস দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) উপজেলার মাঝিরঘাট সংলগ্ন মাঝিরচরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ ২০২১ইং তারিখ রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট সংলগ্ন মাঝিরচরে ৮ বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করে স্থানীয় মাঝিকান্দি বাইতুল জান্নাত মহিলা মাদ্রাসা’র প্রধান শিক্ষক আমির হামজা (৩০)। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় সমাজপতিরা মিমাংসা করে দিবে বলে ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা করতে বাধা দেন।
পরে বৃহস্পতিবার এলাকার লোকজন নিয়ে বিচারে বসে সমাজপতিরা। উভয় পক্ষ ও উপস্থিত সকলে বিচার মানেন কি না জানতে চান সমাজপতিরা। পরে সমাজপতিরা ধর্ষককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০টি জুতাপেটার আদেশ দেন। পরে ৫০ হাজার টাকা মওকুফ করে বাকি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় ও ১০ টি জুতাপেটা কার্যকর করে বিচারকাজ শেষ করা হয়।
সমাজপতি রাজ্জাক মাঝি বলেন, প্রায় ৫শ লোকের উপস্থিতিতে সকলের মতামতের ভিত্তিতে প্রায় ২০-২৫ জনের জুরিবোর্ড গঠন করে বিচারের রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায়ে সকলেই সন্তুষ্ট হয়েছে। এরপরেও যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে আদালতে যেতে পারেন।
জাজিরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ডদন্ত) মিন্টু মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে কারো পক্ষ থেকে থানাকে কিছু জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, সালিশ বৈঠকে ধর্ষণের বিচার করার কোন সুযোগ নাই। ভিকটিমকে থানায় পাঠান। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
#