সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং, ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং

জাজিরায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে গালে কামড় দেয়ার অভিযোগ

জাজিরায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে গালে কামড় দেয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষককে গালে কামর দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষককে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় জাজিরার বড়কান্দি ইউনিয়নের সিকদারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় জাজিরার বড়কান্দি ইউনিয়নের সিকদারকান্দি এলাকা দিয়ে মটর সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন জাজিরা ব্রাইট ষ্টার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক খালিদ হাসান। একই সড়ক দিয়ে আরেকটি মটর সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন দক্ষিন দড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন বেপারী। মটর সাইকেলকে সাইড দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। তখন শিক্ষক আক্তার হোসেন আরেক শিক্ষক খালিদ হাসানের বাম গালে কানের কাছে কামর দেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা তার ওই ক্ষত স্থানে সাতটি শেলাই দেন।
শিক্ষক খালিদ হাসান বলেন, আমি কেন দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলাম এমন অভিযোগ তুলে আক্তার হোসেন আমার উপর চড়াও হন। তিনি আমাকে কিল ঘুসি দেয়ার এক পর্যায়ে বাম গালে কামর দিয়ে মাংশ তুলে নেন। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেব।
দক্ষিণ দড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন বেপারী বলেন, ওই ছেলেটি আমার সাবেক ছাত্র। এলাকায় অনেকবার দ্রুত গতিতে মটর সাইকেল চালিয়ে মানুষের ক্ষতি করেছে। সোমবার সন্ধ্যায়ও সে বেপরোয়া গতিতে মটর সাইকেল চালাচ্ছিল। বিষয়টি আমি তার কাছে জানতে চেয়েছি। সে ক্ষুব্দ হয়ে আমার উপর চড়াও হয়। তখন আমি আত্মরক্ষার্থে তার হাত থেকে বাচার চেষ্টা করি। এতে সে নিচে পরে যায়। তখন হয়ত আঘাত পেতে পারে। আমি কেন তাকে কামরাতে যাব? সে আমাকে মেরে আহত করেছে। এটা থেকে বাঁচতে এখন মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে।
জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, দুই শিক্ষক সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। এক শিক্ষক আরেক শিক্ষকের গালে কামর দেয়ার মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তি আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।


error: Content is protected !!