Monday 30th June 2025
Monday 30th June 2025

বাংলাদেশের সকল মহৎ গর্বিত অর্জনের অংশিদার হচ্ছেন পুলিশ: উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম

বাংলাদেশের সকল মহৎ গর্বিত অর্জনের অংশিদার হচ্ছেন পুলিশ: উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, রাজনীতিবীদদের জন্য দুইজন বন্ধু খুবই প্রয়োজন। একজন হচ্ছে সাংবাদিক আরেক জন হচ্ছেন পুলিশ। শুধু রাজনীতিবীদদের জন্যই নয় সমাজের জন্যও সাংবাদিক এবং পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারেন। বাংলাদেশের সকল মহৎ গর্বিত অর্জনের অংশিদার হচ্ছেন পুলিশ। তারা সবসময় ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কাজ করেছন। আমরা যত উন্নয়নই করিনা কেন যদি পুলিশ আমাদের সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের সকল উন্নয়ন কর্মকা- ম্লান হয়ে যাবে।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা শরীয়তপুরকে শান্তির শরীয়তপুর গড়তে চাই। মাদকমুক্ত শরীয়তপুর গড়তে চাই। সন্ত্রাসমুক্ত শরীয়তপুর গড়তে চাই। আমরা দূর্নীতিমুক্ত শরীয়তপুর গড়তে চাই। আমরা শরীয়তপুরের তিন এমপি মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে শরীয়তপুরের উন্নয়ন করতে চাই। এজন্য আমি পুলিশ ভাইদের সহযোগিতা চাই। আমরা মনেপ্রাণে বিশ^াস করি সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই। আমরা কোন মাদক, সন্ত্রাস ও দূর্নীতিবাজদের পক্ষে থাকবো না। অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের চাইতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সাধারণ মানুষের সাথে বেশি মিশতে হয়। আর এ কারণে সরকারের ভাবমূর্তি অনেকাংশে পুলিশের ওপর নির্ভর করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের কল্যাণে কি করেছেন তা আপনারাই ভালো জানেন। এক সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশে নারী সদস্যরা ছিলেন না। ৯৬ তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশে নারীদের প্রবেশের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আজকে আমাদের বোনেরা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উচ্চ পদে কর্মরত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ^াস করেন নারীরা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে। নারী পুরুষের সমতা আনতে কাজ করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যদি বাংলাদেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে না যেতেন তাহলে কোন বাঙালীর পুলিশ প্রধান, সেনা প্রধান হতে পারতেননা।

বর্তমান সরকারের সময়ে শরীয়তপুর-চাদপুর মেঘনা নদীর ওপর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর নির্মাণ করা হবে। শরীয়তপুরে রেল লাইন হবে। শরীয়তপুর হবে বাংলাদেশের অন্যতম দশটি জেলার একটি।

পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তপাদার, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, নড়িয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির উদ্দিন, জিপি এ্যাড. আলমগীর হোসেন মুন্সী ও মাদারীপুর,র‍্যাব-৮ এর কোম্পানী কমান্ডার রইছউদ্দিন আহমেদ। এ সময় ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, তানভীর হায়দার শাওন, কামরুল হাসান, মোহাইমিনুল ইসলাম সহ সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্তব্যরত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যগণদের স্মরণে সারা দেশের ন্যায় শরীয়তপুর জেলায় পালিত হয় “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০১৯”।
পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০১৯ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যগণদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত শরীয়তপুর জেলার ১২ জন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেক পরিবারকে শরীয়তপুরের তিন এমপির পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার করে মোট ১৫ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।