
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের নাজিমপুর এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের জমিতে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
বাড়িটি নির্মাণ করছেন একই গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে তারেক হাওলাদার। সোমবার (২৩ জুন) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির নির্মাণ কাজ করতে দেখা যায়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নাজিমপুর মৌজায় বিআরএস ১৫৮ খতিয়ানের ৬৬৭ নং দাগের ১২ শতাংশ জায়গা নিয়ে আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা চলমান রয়েছে । সম্প্রতি মামলার বিচারক নির্বাহী আদালত ভেদরগঞ্জ শরীয়তপুর উভয়পক্ষকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় স্থাপনা বা নির্মাণ না করার জন্য গত ৭/৫/২০২৫ তারিখে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞর আদেশ দেন। কিন্তু বিবাদী তারেক হাওলাদার নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বকভাবে ওই জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। এরপর ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ উক্ত নালিশী সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধে ও উভয় পক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পরপর নোটিশ জারি করেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা। কোন নিষেধাজ্ঞা মানতে নারাজ প্রতিপক্ষ তারেক হাওলাদার। তিনি পুনরায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান।
মামলার বাদী খোরশেদা বেগম বলেন, “৩০ বছর পূর্বে তারেক হাওলাদারের বাবা মান্নান হাওলাদার আমাদেরকে চার শতাংশ ভিটা বুঝিয়ে দেয়। তার বাবার মৃত্যুর পর সে জোর পূর্বক এই জায়গা দখল করে এবং আমাদের রোপন করা ৩০ বছরের পুরনো ৪-৫ টি গাছ কেটে ফেলে সেখানে বাড়ি তৈরীর কাজ ধরে। এ জমি আমাদের ক্রয় সূত্রে আমরা ভোগ করে আসছি। আমার দলিলে লেখা ভিটা কিন্তু তারেক আমাকে ডোবা দেখিয়ে বলে ঐখানে আপনার জায়গা। আমাদের কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও জোর করে আমাদের জমিটি দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের নিষেধ অমান্য করে ঘর তোলাই এর প্রমাণ। এর আগে তারেক হাওলাদার দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছি। এ ছাড়া তারেক আমাকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
বিবাদী তারেক হাওলাদার বলেন, বাদীপক্ষের দুটি মামলা খারিজ হয়ে গেছে। একটি মামলা চলমান। আমি এখানে কাজ করি এটা আদালত জানে। আমি কারও জায়গা দখল করিনি এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। কাগজপত্রে পেলে ভবন ভেঙে জায়গা ছেড়ে দেব।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পারভেজ আহমেদ সেলিম বলেন, আদালতের আদেশে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে এ সংক্রান্ত আদালতের যেকোন আদেশ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।