
ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের হাইফা শহরের একটি প্রধান তেল শোধনাগার সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে পড়েছে। এই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তেল শোধনাগারটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাজান গ্রুপ জানায়, ইরানের মিসাইল আঘাতে তাদের অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
তেলআবিব স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, শোধনাগারটির পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলে কেবল প্রধান কারখানাই নয়, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন অবকাঠামো পুনরুদ্ধার ও বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর প্রচেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, হাইফা উপসাগরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত এই তেল শোধনাগারটি দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য হামলার ঝুঁকিতে ছিল। এটি পরিবেশ দূষণের জন্য বহুবার সমালোচনার মুখে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে এ স্থাপনাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
২০২২ সালে ইসরায়েল সরকার ঘোষণা দেয় যে ২০৩০ সালের মধ্যে শোধনাগারটি স্থানান্তর করা হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংলগ্ন তেল ট্যাঙ্ক অপসারণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল এ বছরেই।
তবে তার আগেই ইরানের সরাসরি হামলায় বাস্তবে দেখা মিলল সেই ভয়াবহতার, যার আশঙ্কা এতদিনে অনেকেই করে আসছিলেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল