
মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নে একটি বিয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে নাচগানকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের কিশোরদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে ককটেল বিস্ফোরণসহ দোকানপাট ও বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। তাদের মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (১১ জুন) রাতে উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কাওসার তালুকদারের মেয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যান স্থানীয় ইউপি সদস্য সাগর বেপারীর (সাগর মেম্বার) অনুসারী কিশোররা। সেখানে উত্তর খাগছাড়ার হাকিম কাজী গ্রুপের কিশোরদের সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযোগ রয়েছে, নাচের সময় মেয়েদের উত্যক্ত করার ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উত্তর খাগছাড়া নতুন বাজারে বসে সালিশ বৈঠক। তবে মীমাংসার চেষ্টা চলাকালেই উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলাকালীন সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং উভয় পক্ষের অন্তত ১৫টি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—সুচিয়া ভাঙ্গা গ্রামের আলামিন সন্ন্যামত (১৮), জামাল ঢালী, অলিল ঢালী, শাহ আলম সন্ন্যামত এবং উত্তর খাগছাড়ার রেজাউল চৌকিদার, কাওসার তালুকদার, কামাল হোসেন, সাব্বির শিকদার, শুভ কাজী, রোমান কাজী, আরিফ কাজী, ইব্রাহিম কাজীসহ অন্তত ১৫ জন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তবে প্রশাসনের তৎপরতায় আপাতত বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা নেই।