
ফরিদপুর শহরের ধুলদী বাজার এলাকায় এক যুবককে আটকে রেখে মুক্তিপণের দাবিতে বর্বর মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আটককৃতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। ঘটনায় আহত যুবক আসিফ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা মোঃ হারুন শেখ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসিফ ঢাকায় একটি বেসরকারি জীবন বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আসিফের পূর্বপরিচিত অজয় মালো একই অফিসে যোগদান করলেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে চাকরিচ্যুত হন। চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ও জমাকৃত কাগজপত্র ফেরতের দাবি করে আসিফের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন তিনি। বিষয়টি অফিসের মাধ্যমে সমাধান করতে বললে অজয় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আসিফের ক্ষতি করার হুমকি দিতে থাকেন।
৯ জুন সকাল ১০টার দিকে আসিফ কাগজপত্র ফেরত দিতে ধুলদী বাজারে গেলে অজয় মালো, ওহেদ আহিদ শেখ এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে তাকে ফাঁদে ফেলে হাজরাতলা এলাকায় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটক রেখে একাধিক মোবাইল নম্বর থেকে তার বাবার নম্বরে ফোন করে ৬৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় আসিফকে লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। লোহার আঘাতে তার গাল ফেটে যায় ও একটি দাঁত ভেঙে পড়ে, বাম কাঁধে হাড় ভেঙে যায় এবং সারা শরীরে নীল-ফুলা জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসিফকে ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরিবার প্রথমে আসিফকে ফরিদপুরে চিকিৎসা দিলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় আসিফের বাবা হারুন শেখ ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় নাম উল্লেখ রয়েছে অজয় মালো (২০), পিতা শ্যামল মালো এবং ওহেদ আহিদ শেখ (২৪), পিতা আইয়ুব শেখ—এবং অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।