
শ্রীলঙ্কার গল মাঠে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে মুগ্ধ করেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে টাইগারদের দিয়েছে দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ।
দিনের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। পঞ্চম ওভারে ওপেনার আনামুল হক বিজয় শূন্য রানে ফিরে যান। আসিথা ফার্নান্দোর সুইং করা ফুলার ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় কিপার কুশল মেন্ডিসের হাতে। এরপর সাদমান ইসলাম (১৪) এবং মুমিনুল হক (২৯) ১৫তম ওভারে লঙ্কান স্পিনার থারিন্দুর টানা দুই বলে আউট হন। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে স্লিপে ধরা পড়ে দুজনেই। প্রথম সেশনে ৯০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে, দ্বিতীয় সেশন থেকে শান্ত ও মুশফিকের জুটি ম্যাচের চেহারা বদলে দেয়। দুজনে ৪৮তম ওভারে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে ফিফটি তুলে নেন। শান্ত একক রানে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি এবং মুশফিক পরের বলে ২৮তম ফিফটি পূর্ণ করেন, যা ছিল তার ১৩ ইনিংস পর প্রথম। এই জুটিতে ১০০ রান পূর্ণ হয়।
তৃতীয় সেশনে শান্ত-মুশফিক তাদের জুটিকে ১৫০ রানের মাইলফলকে নিয়ে যান। শান্ত ২০২ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নেন, যা তার ২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্ট শতকের পর প্রথম। মুশফিকও ১৭৬ বলে ৫ চারে শতক পূর্ণ করেন, যা তার গত বছরের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ শতকের পর প্রথম। তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ ২০০ রান পার করে, দিন শেষে মুশফিক ১৩৬ এবং শান্ত ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত শান্তর জন্য সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। গলের পিচে, যেখানে স্পিনাররা সাধারণত আধিপত্য বিস্তার করে, শান্ত ও মুশফিকের দৃঢ়তা শ্রীলঙ্কার বোলারদের হতাশ করেছে। দ্বিতীয় দিনে এই জুটি কতদূর এগিয়ে যায় এবং বাংলাদেশ কত বড় স্কোর গড়ে, সেটাই এখন সবার নজরে।