শরীয়তপুর সদর উপজেলায় কুকুর পালা নিয়ে বিরোধের জের ধরে শুকুমার মন্ডল (৫৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রীকে মাথায় দা ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ঋষিপাড়া এলাকায় সাংবাদিক পারভেজ এর অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় আহতের ছেলে চন্দন মন্ডল, ভাই গোপাল মন্ডল, ভাতিজা বিশ্বজিৎ মন্ডল, মিলন মন্ডল, কাকি মায়া রানী মন্ডল, মিলনী রানী মন্ডল ও প্রতিবেশী জামাল খান প্রমূখ উপস্থতি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, উপজেলার পালং ইউনিয়নের পাটুনিগাঁও গ্রামের মৃত ক্ষেত্রমোহন মন্ডলের ছেলে শুকুমার মন্ডল (৫৫) ও প্রতিবেশী মৃত নিবারণ মন্ডলের ছেলে জয়দেব মন্ডলের সঙ্গে কুকুর পালা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পর গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার আটং এলাকায় বটগাছের নিচে পূর্বপরিকল্পনা করে জয়দেব মন্ডল (৫৫), সনাতন মন্ডল (২৫), চঞ্চল মন্ডল (২২), কালু মন্ডল (৬৫), যাদব মন্ডল (৪০), অনাথ মন্ডল (২৮)সহ ২/৩ জন মিলে শুকুমার মন্ডলকে একা পেয়ে দা ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শুকুমারের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসকরা মহাখালি আয়শা মেমোরিয়াল হসপিটালে প্রেরণ করেন। সেখানে শুকুমার আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা আশংকা জনক।
এ ঘটনায় শুকুমার মন্ডলের ভাতিজা বিশ্বজিৎ মন্ডল বাদী হয়ে গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে ৬জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরের দিন শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আসামী অনাথ মন্ডলকে আটক করে পুলিশ। রবিবার অনাথ জামিনে চলে আসেন।
আহত শুকুমার মন্ডলের ছেলে চন্দন মন্ডলসহ অনেকেই জানান, পূর্বপরিকল্পনা করে শুকুমার মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় হাতুড়ি ও দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আসামী জয়দেব মন্ডল, সনাতন মন্ডল, চঞ্চল মন্ডলসহ সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করে ফাঁসি দাবী জানান তারা।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, আসামীরা বাড়ী থেকে পালিয়েছে। একজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।