
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নামের আগে ডা. লিখতে পারবেন না এমন নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নেতারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ রায়, রেজিষ্ট্রার ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল গ্রাজুয়েট এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ আশিষ শংকর নিয়োগী, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ ইমরুল কায়েস, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোঃ আক্তার উজ জাহান পুলক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় সদস্য ডাঃ মোঃ কায়েম উদ্দীন, ডাঃ মোসাঃ আশরাফুন্নেসা আশা কিবরিয়া, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ মোঃ মাহবুব হাফিজ, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, লিগা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কান্ট্রি ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ মোঃ আশরাফুর রহমান, বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডাঃ মোঃ ফারুক আহমেদ মজুমদার, হোমিও পেশাজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আমানুল্লাহ জিকু, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম ভ্ূঁইয়া, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডাঃ মোঃ তারিকুজ্জামান সোহেল, রেক্স হোমিও ইন্টারন্যাশনাল এর পরিচালক সেলস্ ডাঃ মোঃ এনামুল হক, স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ (স্বাহোচিপ), ঢাকা মহানগরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হেমন্ত দাস, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ডাঃ তপন বাড়ৈ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান রাসেল, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আরিফ রাব্বানী, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিটন মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সম্প্রতি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহার করা যাবে না এমন নির্দেশনা দিয়ে বিএমডিসির আইন ২০১০ এর বরাতে চিঠি দিয়ে যে নির্দেশনা জারি করেছেন তা সঠিক নয়। এটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩, মাদক আইন ২০১৮, ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ (২৩/২) সহ সরকারের বিভিন্ন সময়ে জারি করা আদেশ অনুসারে নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা তাদের নিজ নিজ নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহারের অধিকার রাখেন। প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় থেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গ্রহণযোগ্যতা উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠন করেন এবং হোমিওপ্যাথি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়নে সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়-২০১৪ সালে আশা ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের এক মাঠ জরিপে দেখা যায় যে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সরকারি হাসপাতালে চাকরিসহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। বর্তমানে দেশে ৬৫টি বেসরকারি ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং একটি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে।