Monday 30th June 2025
Monday 30th June 2025

ভিনেগারের মূল্য বেশি চাওয়ায় পালং বাজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ভিনেগারের মূল্য বেশি চাওয়ায় পালং বাজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ভিনেগারের মূল্য বেশি চাওয়ায় পালং বাজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা

শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং বাজারে ভিনেগারের মূল্য বেশি চাওয়ায় বণিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর জরিমানা করেছেন। আবু তাহের দেওয়ান নামে এক ক্রেতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী শুরু হয়। শুনানী শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলা সহকারী পরিচালক সুজন কাজী এই আদেশ প্রদান করেন। এই সময় ক্যাব শরীয়তপুরের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানাগেছে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার স্বর্ণঘোষ গ্রামের আবু তাহের দেওয়ান পালং বাজারের বণিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়ে একটি আপেল সীডার ভিনেগার ক্রয় করতে চায়। তখন বণিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক গৌর চন্দ্র বণিক ভিনেগারের দাম ৪০০ টাকা দাবী করেন। এই ক্রেতা পূর্বে একই ভিনেগার ২৫০ টাকায় কিনেছেন জানালে গৌর চন্দ্র বণিক ও তার ছেলে গনেশ ক্রেতার সাথে অসৌজন্য আচরণ করেন। পরে ক্রেতা জাতীয় ভোক্তা অধিকার অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা দোকানীকে ভিনেগারসহ ডেকে এনে অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে বিষয়টি শুনানী করেন। ভিনেগারের বোতলে মূল্য প্রদর্শণ না করা ও অতিরিক্ত লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় বেশী মূল্য দাবী করায় দোকানীকে সচেতনতামূলক ভাবে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় দোকানীকে ক্রেতার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন এই কর্মকর্তা।

দোকানী গনেশ বণিক বলেন, লকডাউনে এই পন্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকার চক বাজার থেকে ২৯০ টাকায় এই ভিনেগার ক্রয় করেন তারা। এই ভিনেগার খুব কম চলে তাই ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন। কখনও কারোর কাছ থেকে ২০ টাকা কমও রাখেন। তবে ভবিষ্যতে এমন আচরণ করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই দোকানী।

পালং বাজারের নিয়মিত ক্রেতারা জানায়, এই দোকানী প্রতিটি পন্যের মূল্য বেশী হাকেন। প্রায়দিনই ক্রেতার সাথে তারা ঝামেলা বাধিয়ে থাকেন। ক্রেতার সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন অহরহ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ভিনেগারসহ দোকানীকে ডেকে এনে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনি। বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করি। জানতে পারি পূর্বে এই পন্যের বিক্রয় মূল্য ২৫০ টাকা ছিল। বর্তমানে দাম বেড়েছে। তবুও ৩৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করলে দোকানীর ৪০ টাকা পর্যন্ত প্রোফিট হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা দাম চাওয়া অন্যায়। বোতলের গায়ে মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় প্রাথমিক ভাবে দোকানীকে সচেতনতামূলক ভাবে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মূল্য প্রদর্শণ ছাড়া কোন পন্য বিক্রি করতে হলে অবশ্যই সেই পন্যের মূল্য তালিকা থাকতে হবে বলে দোকানীকে সতর্ক করা হয়েছে।