
শরীয়তপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
জেলা আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগ-এর অঙ্গসংগঠণের আয়োজনে শরীয়তপুর জেলা শহরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বুধবার ৫আগস্ট বিভিন্ন অঙ্গসংগঠণের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এ দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এ সময় জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও জিপি এডভোকেট আলমগীর হোসেন মুন্সী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শরীয়তপুর পৌরসভা আওয়ামীলীগ সভাপতি এস. এম. জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন খান, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা ইয়াসমিন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের শরীয়তপুর জেলা সভাপতি শেখ আব্দুস সালাম, পৌরসভা আওয়ামীলীগের আ: হাকিম, সদর পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাচ্চু বেপারী, জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মহসীন মাদবর ও যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠণের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ শেখ কামালের বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন শেখ কামাল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ অনার্স পাস করেন। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গণে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিল তার। শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশনন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণের সময় তিনি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষা দিয়েছিলেন।