
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানায় জোরপূর্বক এক অসহায় পরিবারের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। উপজেলার সখিপুর বেপারীকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে ভুক্তভোগিরা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন ও আদালতে একাধিক মামলা দায়ের এবং এলাকায় দরবারও হয়েছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগি পরিবার জানান, উপজেলার সখিপুর বেপারীকান্দি গ্রামের অসহায় মো. বাদশা মিয়া খন্দকারের ৯০ নং চর সখিপুর মৌজায় বাড়ির ও ফসলি মোট ১৬ শতাংশ জমি দখল করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী শাহজাহান খন্দকার (৫০), মোস্তফা খন্দকার (৪৮), আলী খন্দকার (৪০) গংরা। এ ঘটনায় আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এলাকায় দরবার সালিশও হয়েছে।
ভুক্তভোগি অসহায় মো. বাদশা মিয়া খন্দকার বলেন, আমি গরিব মানুষ। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। জীবিকার প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে অনেক বছর রাঙামাটিতে ছিলাম। এই সুযোগে শাহজাহান খন্দকার, মোস্তফা খন্দকার, আলী খন্দকার, ছায়েদুর রহমান খন্দকার, মনির খন্দকার, জুয়েল খন্দকার, আলমগীর খন্দকার, হাবিবুর রহমান খন্দকার, আমির খন্দকার, আল-আমিন খন্দকার, আলমগীর খন্দকার, জলিল খন্দকাররা জোরপূর্বক আমার ১৬ শতাংশ জমি দখল করে ফসল চাষ করছে ও ঘর নির্মাণ করেছে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারকে মৃত্যুর হুমকি দেয়। সম্প্রতি আমার একটি দোচালা টিনের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ওরা। একাধিকবার আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলাও চালিয়েছে শাহজাহান খন্দকারগংরা। তাই আমি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছি। আমি আমার জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি।
এদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান খন্দকার মোবাইল ফোনে জানান, মো. বাদশা মিয়া খন্দকার আমার চাচাতো ভাই। আমাদের বাব-দাদারা যে যতটুকু জমি পাবে তা তারা ভাগ করে দিয়ে গেছেন। কিছু সম্পত্তি বদল করা হয়েছিল। কিন্তু বাদশা মিয়া তা মানছেন না। আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা তার জমি দখল করিনি। মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছেন বাদশা মিয়া।
সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজমল হোসেন বেপারী বলেন, ভ্যান চালক বাদশা মিয়া ও শাহজাহান খন্দকারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আমি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা মিলে দরবার সালিশ করেছি। দরবার-সালিশে বাদশা মিয়া খন্দকার জমি পেয়েছিল।
সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। ভুক্তভোগি থানায় এসে অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।