
মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির কক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের অন্যতম সদস্য ও শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের সংসদ সদস্য জননেতা ইকবাল হোসেন অপু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সিভিল সার্জন ড. খলিলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাশেম তপাদার, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল প্রমূখ।
এর আগে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন শেষে শহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি শোক র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর উপজেলা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু বলেন, আজকের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করছি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারর্গকে। যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শাহাদাত বরণ করেছেন। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন বাঙালী জাতিকে একটি সুখি সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা উপহার দিতে। কিন্তু জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পুরণ হওয়ার আগেই ঘাতকেরা স্বপরিবারে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আজকে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন পুরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে আজকের মুজিব আদর্শের সৈনিকদের শপথ নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।