
শরীয়তপুরে ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী গভীর শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করলো শরীয়তপুর সরকারি কলেজ। এ উপলক্ষ্যে কলেজ প্রশাসন বিস্তারিত কর্মসূচী প্রণয়ন করেন।
কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শোক র্যালী, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পূস্পার্ঘ অর্পনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে শোক র্যালীর নেতৃত্ব দেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান। র্যালি শেষে কলেজের শহীদ মিনারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কলেজের শিক্ষকমন্ডলি, কর্মচারীবৃন্দ, কলেজশাখা ছাত্রলীগ এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। সকাল ১০ টায় কলেজ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও তার হত্যার ষড়যন্ত্রের উপর প্রদর্শিত হয় প্রামান্য চিত্র। পিনপতন নিরবতা ও শ্রদ্ধাপূর্ণ পরিবেশে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ প্রামান্যচিত্র উপভোগ করেন। এরপর কবি নির্মলেন্দু গুণ এর সুবিখ্যাত “সেই রাত্রির কল্পকাহিনী” নির্ধারিত কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করা হয়, “জাতির পিতার স্বপ্ন ও আজকের বাংলাদেশ” এবার “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগীতা। কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগীতায় প্রচুর সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
কলেজ মিলনায়তনে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিভাগের আহ্বায়ক ড. এসএম মনির হোসেনের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের উপর আলোচনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, আলোচনায় অংশ নেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মন্ডলি।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে অধ্যক্ষ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, তারা প্রকারান্তরে বাংলা ও বাঙালী জাতিকে হত্যা করতে চেয়েছে। তারা বাংলাদেশের সংবিধানকে হত্যা করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা জাতির জনকের আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। আজ দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনকের আদর্শে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে এসেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে উপনীত হবে। কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগীতায় পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির ১ম পর্যায়ের সমাপ্তি হয়।
বাদ যোহর কলেজ মসজিদে জাতির জনকের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল তোবারক বিতরণ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।