
প্রক্রিয়াগত ত্রুটির জন্য দূর্গাপূজার বেতন-বোনাস পেল না শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। কিভাবে বেতন বোনাস পেতে পারে সেই লক্ষ্যে কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বেতন-বোনাস প্রত্যাশী কর্মচারীরা।
আগামী রোববার পর্যন্ত বেতন-বোনাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অফিস কক্ষ থেকে। তা না হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন হিন্দু কর্মচারীদের।
হাসপাতালের অফিস সূত্র জানায়, গত আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল্লাহ অবসরে চলে যায়। তার স্বাক্ষরে আগস্ট মাসের বেতন হয়েছে। তিনি অবসরে যাওয়ার পর ডা. মিজানুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
কিন্তু বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমানকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোন ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। সেই কারনে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পায়নি কোন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা। এর মধ্যে ফার্মাসিস্ট বিকাশ সরকার, এমএলএসএস শিপ্রা রাণী, ক্লিনার মিনু, সাগর জমাদার, সম্পা ও সীমা।
দূর্গা পূজার বেতন-বোনাস না পেয়ে ক্ষোভে দুঃখে হিন্দু কর্মচারীরা বলেন, বছরে আমাদের একটা ধর্মীয় উৎসব। আজ থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বা উৎসব বোনাস পাইনি। আমাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। নিজের কথা বাদ দেই উৎসবের যদি বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, সন্তানকে কিছু দিতে না পারি তাহলে এই লজ্জা কোথায় রাখবো। আমাদেরতো ভিন্ন কোন আয়ের উৎস নাই যে সেখান থেকে ব্যয় করবো।
মুসলিম কর্মচারীরা জানায়, আমাদের বেতনের উপর নির্ভর করতে হয়। মাস শেষ হলে বেতনের টাকায় চাহিদা পূরণ করতে হয়। আজও বেতন হয়নি তাই সমস্যায় আছি।
প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. বজলুর রশিদ বলেন, ডিডিও পাওয়ার না থাকায় হাসপাতালের কোন কর্মচারী বেতন পায়নি। এই সমস্যা শুধু হিন্দুদের জন্য না। আগামী রোববার বেতন-বোনাস হতে পারে। যদি না হয় তাহলে হিন্দু কর্মচারীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।
শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হয়তো আজ নেই কাল হয়তো চলে আসবে। হাসপাতালে বেতনের ব্যাপারে আমার কোন ক্ষমতা নেই।