সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরে থামানো যাচ্ছে না মা ইলিশ শিকার : মিলছে পথে ঘাটে ইলিশ

শরীয়তপুরে থামানো যাচ্ছে না মা ইলিশ শিকার : মিলছে পথে ঘাটে ইলিশ

শরীয়তপুরের জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার করায় প্রতিদিনই লাখ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, শত শত কেজি ইলিশ মাছ ও জেলেদের আটক করে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। তবুও কেনো থামানো যাচ্ছে না ইলিশ শিকারীদের?
মা ইলিশ রক্ষা না করতে পারার কয়েকটা কারণ হলো বড় বড় আড়ৎদার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যোগসাজশ ও নদীর তীরবর্তী গরীব মানুষরা বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা ঋণ নিয়ে ট্রলার ও জাল ক্রয় করার বিষয়টিও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। একারণে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামছে নদীতে মা ইলিশ শিকার করতে।
মা ইলিশ কিনতে নদীর পাড়ে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে মাছ ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে। এর ফলে ইলিশ মাছের দেখা মিলছে পথে ঘাটেও।
৯ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় ইলিশ শিকার করায় এ পর্যন্ত কয়েক শত জেলে ও ক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটগণ তাদের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা করেন।
এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় মৎস্য অধিদফতর, পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করায় নড়িয়া এলাকায় ৬৫ জেলেকে আটক ও ১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ৩০০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। অন্যদিকে জাজিরা এলাকায় ৮০ জেলে আটক, ৬০ হাজার মিটার জাল ও ২০০ কেজি ইলিশ জব্দ এবং ভেদরগঞ্জ এলাকায় ২০ জেলে আটক, ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৪৫ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও জেলেদের দাবি তারা ইলিশ মাছ ধরতে গেলে নেতা ও প্রশাসনের লোক এসে তাদের কাছ থেকে সে মাছ ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা সেই মাছ কোথাও না দিয়ে নিজেরা বাড়িতে নিয়ে যায়। এতে মা ইলিশ রক্ষার নামে চলছে গরীবের পেটে লাথি মারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকার করায় ১৬৫ জেলেকে আটক করে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা ৫৪৫ কেজি ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ ও দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
যতোদিন এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে ততোদিন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যহত থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবির।


error: Content is protected !!