
লবণ ও পেঁয়াজে ক্রাইসিস ও গুজব যারা ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শরীয়তপুর ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন বাজার কমিটির সাথে মতবিনিময়কালে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য এ গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে, আমরা মিডিয়ার কারণে জানতে পেরেছি যে, বিভিন্ন জায়গায় পচা পেঁয়াজ পানিতে বা অন্যান্য জায়গায় ফেলে দিচ্ছে। একটি সরকারকে বিপাকে ফেলার পায়তারায় একটা আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস তৈরি করতে চায় পিঁয়াজ এবং লবণের মাধ্যমে। অথচ বাজারে এগুলার সহজলভ্যভাবে পরিমাণমত পাওয়া যাচ্ছে। যারাই এগুলো নিয়ে ক্রাইসিস ও গুজব ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ফেইসবুকে কেউ কান দিবেন না। যাদের লবণ লাগবে, তারা দু-এক পেকেট লবণ কিনবেন। বেশি লবণ ক্রয় করে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরী করা যাবে না।
এ মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজি, পালং মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক(অপারেশন) আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও-১ আজহারুল ইসলাম, কনজুমারস্ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) শরীয়তপুরের সভাপতি মোঃ বিল্লাল হোসেন খান, পালং বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বেপারী, চিতলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদারসহ জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীগণ।
শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুজন কাজি বলেন, আমাদের আমদানি বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ লবণ ও পেঁয়াজ মজুদ আছে, এ নিয়ে চিন্তার কোন কারন নেই।
এ সময় মতবিনিময়কালে ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে কোন রকম গুজবে কান দিব না।
উল্লেখ্য, সকাল থেকে হঠাৎ করে লবণের দাম বাড়ার গুজব ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলার বিভিন্ন স্থানে বাজারসহ দোকানগুলোতে ক্রেতাদের লবণ কেনার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।