
পাসপোর্ট প্রাপ্তির আবেদনপত্র গ্রহণে ঘুষ দাবির অভিযোগে শরীয়তপুর জেলা পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাসের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টীম বুধবার (১২ ফেব্রুয়রি) এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে সেবা গ্রহীতা সেজে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয় এবং দেখতে পায় অফিসে দালালদের উপস্থিতি রয়েছে। এ সময় দুদক টিম বিভিন্ন সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, দালালদের সঙ্গে অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি যোগসাজশ রয়েছে। তাদের ঘুষ প্রদান না করলে ইচ্ছাকৃতভাবে পাসপোর্ট প্রদানে দেরি করা হয়।
এ সময় কয়েকজন দালাল ছদ্মবেশে থাকা দুদক টিমকে জানায়, দ্রুত পাসপোর্ট প্রদানের প্যাকেজ মূল্য ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর কমে ওই অফিসে সেবা পাওয়া যাবে না।
দুদক টিম আরও জানতে পারে, এই ঘুষচক্রে পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার সুমন রায় এবং ডেলিভারি সেকশনে কর্মরত প্রণব কুমার দাস জড়িত আছেন।
পরে সেবাগ্রহীতা সেজে তাদের নিকট উপস্থিত হলে ওই দুই কর্মচারী দুদক টিমের নিকট ঘুষ দাবি করে। পরবর্তীতে দপ্তর প্রধান উপ-সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে এ ব্যাপারে দুদক টিম কথা বলে। পরে দপ্তর প্রধান উপ-সহকারী পরিচালক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত বদলি এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করার বিষয়টি দুদক টিমকে অবহিত করেন।
এছাড়া এনফোর্সমেন্ট টিম ইব্রাহিম, আশরাফ এবং সবুজ নামে তিনজন দালালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানায় দুদক।