
বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে বিড়ি উৎপাদন ও বিড়ি বিক্রয় বন্ধ না করা, বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করা ও শ্রমিকদের সপ্তাহে ৬ দিন কাজের সুযোগসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুর বিড়ি শ্রমিকরা।
শনিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ বাজারে সোনার বাংলা বিড়ি ফ্যাক্টারির সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক বিশিষ্ট নাগরিক ও এক সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর ও স্বাস্থমন্ত্রীর বরাবর বিড়ি উৎপাদন ও বিড়ি বিক্রিয় বন্ধের দাবি জানানোর প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করে তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করে শরীয়তপুর বিড়ি শ্রমিক ফেডারশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমানসহ আরও অনেকে। মানববন্ধনে সোনার বাংলা বিড়ি ফ্যাক্টরির ও এশিয়া বিড়ি ফ্যাক্টারির ২ শতাধিক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুর বিড়ি শ্রমিক ফেডারশনের সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, আমার সংসার চলে বিড়ি বাধাই করে, আমি সরকারের কাছে বিশেষ দাবি জানাই এ অর্থ বছরে বিড়ির উপর যেন ট্যাক্স না বাড়ায়। ট্যাক্স বাড়াইলে এ শিল্পটি ধ্বংস হয়ে যাবো, তখন আমরা বেকার হয়ে যাবো। আপনি ট্যাক্স বাড়িয়ে আমাদের পেটে লাথি দিয়েন না।
শরীয়তপুর বিড়ি শ্রমিক ফেডারশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, বিড়ি শিল্প এশটি প্রাচীন শ্রমঘন কুটির শিল্প। এই শিল্পের হাত ধরেই আজ দেশে বহু শিল্প গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। এই বিড়ি শিল্প যেমন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিকে সচল রাখতে অগ্রগণ্য ভ’মিকা পালন করেছে তেমনি কর্মসংস্থান করেছে স্বামী পরিত্যক্তা নারী, নদী ভাংগন কবলিত এলাকার লক্ষ লক্ষ হত দরিদ্র শ্রমিকের। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এ শিল্পটি চালু হয়েছে। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৬ শে মার্চ হতে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি অবস্থায় শ্রমিক নির্ভও কওে এই শিল্পটির উৎপাদন, বিপনণ কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। যার কারনে বিড়ি শিল্পের সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের এই বেকারত্বের কারনে থেমে নেই জীবন যাত্রার চাহিদা। যার ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদেও ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বিড়ি শিল্প মালিকদের।জরুরি অবস্থায় দেশের সকল বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকার কারণে বিড়ি শিল্প প্রায় ধ্বংশের পথে। আবার অন্যদিকে সিগারেট শিল্পকে সুরক্ষার জন্য এ সময়ে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও ইউনাইটেট ঢাকা ট্যোবাকা(জেটিআই) কে ফ্যাক্টারির উৎপাদন, তামাক ক্রয় ও বাজারজাত করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কর্মহীন করার ব্যবস্থা হয়েছে এ শিল্পের সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের। তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে বলতে চাই ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির উপর পুনরায় ট্যাক্স বাড়ালে এই শিল্পটি ধবংস হয়ে যাবে। কর্মহীন হয়ে পড়বে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক, বাড়বে বেকারত্বেও এবং সরকার হারাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব। তাই সরকারওে কাছে আমার বিশেষদাবি থাকবে বিড়ির উপর যেন পুনরায় ট্যাক্স বৃদ্ধি না করা হয়।