সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জনসহ ৭ জন করোনা যোদ্ধা

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জনসহ ৭ জন করোনা যোদ্ধা

সারাদেশের সাথে পাল্লা দিয়ে শরীয়তপুরেও হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তাদের চিকিৎসা ও নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে চিকিৎসকরা। তার পরেও দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে পরিবারে কথা ভুলে গিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম সারির যোদ্ধা হয়ে, যুদ্ধ করছেন শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ। যেখানে করোনা রোগীদের কাছে তাদের পরিবারও এগিয়ে আসেনা। সেখানে ছোঁয়াচে এ রোগের চিকিৎসা ও নমুনা সংগ্রহ করছেন তারা। করোনা প্রতিরোধে কাজ করতে গিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ১৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

তার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত দিন ডামুড্যা, শরীয়তপুর সদর, জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলাকে করোনা মুক্ত করতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সোবহান, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সফিকুল ইসলাম, ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেঘনাদ শাহা, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান, সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সুমন কুমার পোদ্দার, ডা. আকরাম এলাহী, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দা শাহিনুর নাজিয়া, ডা. আবদুল রশিদ প্রমুখ। তারা প্রতিদিন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন মানুষের চিকিৎসা সেবা ও করোনার নমুনা সংগ্রহ করতে। হাসপাতাল এবং কোয়ার্টারে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন-রাত কাটছে তাদের।

শরীয়তপুর জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ও ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন বলেন, এটা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব। বলা যায় এটা নতুন প্রজন্মের আর একটা মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধ একটা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যা খালি চোখে দেখা যায় না। একটা অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধ করতে গিয়ে জেলায় আমাদের ১৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তার পরেও আমরা এই যুদ্ধ থেকে পিছ পা হইনি। করোনা প্রতিরোধে দেশ মা’য়ের জন্য আমাদের এই যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, এই যুদ্ধে আমাদের কমান্ডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই যুদ্ধে আমাদের সহযোদ্ধা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক এবং দেশের প্রতিটা সচেতন নাগরিক। আমরা সবাই দেশের জন্য যুদ্ধ করছি এবং যুদ্ধ করে যাব শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। শুধু মানুষের কাছে আহ্বান আপনারা ঘরে থাকুন, সকল বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলুন। এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব ইনশাআল্লাহ।


error: Content is protected !!