Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের ২০২০-এর সাফল্য

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের ২০২০-এর সাফল্য
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের ২০২০-এর সাফল্য

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান (১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর-২০২০ পর্যন্ত)-২২দিনের সাফল্য নিয়ে শরীয়তপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো: শামীম হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গত ১৪ অক্টোবর ২০২০ হতে ০৪ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ২২ দিন মেয়াদে ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে মা ইলিশসহ সকল ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। এ সময় দেশব্যাপী মা ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদ নিষিদ্ধ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শরীয়তপুর জেলার ইলিশের প্রধান প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা থেকে গোসাইরহাট উপজেলার খুনের চর পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনার ৬০ কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণে জেলা প্রশাসক মোঃ পারাভেজ হাসান এর সভাপতিত্বে শরীয়তপুর জেলার ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটি বিস্তারিত কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহন করেছিল। কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২২ দিন ব্যাপি জেলা প্রশাসন, শরীয়তপুর কর্তৃক নিয়োগকৃত এক্সিকিউটিড ম্যজিস্ট্রেটগনের নেতৃত্বে এবং জেলা মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ বাহিনির সহযোগিতায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০ পরিচালিত হয়েছে। মা ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরন, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলার সকল উপজেলার নদ-নদী, মাছ বাজার, মৎস্য আড়ৎসহ ইলিশ আহরণ ও পরিবহনের সাথে জড়িত সকল স্থাপনায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্মতৎপরতায় ও বিভিন্ন অভিযানে জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জাজিরা ও গোসাইরহাট উপজেলার ৭০ কিলোমিটার নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে বেশ সাফল্য এসেছে।

এ বছর জেলার নড়িয়ায় উপজেলায় মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে ২২ টি, মোট মামলা হয়েছে ৮০৬ টি, মোট কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ৪৫০ জন, মোট অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৩৫৬ জন, মোট অর্থ দন্ডের পরিমান ১৮ লক্ষ ২২ হাজার টাকা, জব্দকৃত জালের পরিমান ১৫ লক্ষ ৬ হাজার মিটার, জব্দকৃত মাছের পরিমান ৯০৬.৫০ কেজি, জব্দকৃত মালামাল (অন্যান্য) নৌকা ১ টি, ট্রলার ২৪ টি ও স্পিডবোর্ট ২ টি, জব্দকৃত মালামালের নিলামকৃত আয় ১১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।

জাজিরা উপজেলায় মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে ৫৭ টি, মোট মামলা হয়েছে ১০১৪ টি, মোট কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ৮২৫ জন, মোট অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ১৮৯ জন, মোট অর্থ দন্ডের পরিমান ৯ লক্ষ ৬ হাজার ৫’শ টাকা, জব্দকৃত জালের পরিমান ৬৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ২’শ মিটার, জব্দকৃত মাছের পরিমান ৭৬০ কেজি, জব্দকৃত মালামাল (অন্যান্য) ট্রলার ২০ টি ও স্পিডবোর্ট ৮ টি, জব্দকৃত মালামালের নিলাম প্রক্রিয়া চলমান।

ভেদরগঞ্জ উপজেলায় মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে ২৫ টি, মোট মামলা হয়েছে ৫১২ টি, মোট কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ৪৩০ জন, মোট অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ১৮৩ জন, মোট অর্থ দন্ডের পরিমান ৮ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা, জব্দকৃত জালের পরিমান ৮ লক্ষ ৭৪ হাজার মিটার, জব্দকৃত মাছের পরিমান ৬০৫ কেজি, জব্দকৃত মালামাল (অন্যান্য) নৌকা ৩০ টি ও স্পিডবোর্ট ২ টি, জব্দকৃত মালামালের নিলামকৃত আয় ১৫ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।

গোসাইরহাট উপজেলায় মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে ২২ টি, মোট মামলা হয়েছে ৯৭ টি, মোট কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ৬৯ জন, মোট অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ২৮ জন, মোট অর্থ দন্ডের পরিমান ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, জব্দকৃত জালের পরিমান ৩১ হাজার ৫’শ মিটার, জব্দকৃত মাছের পরিমান ১৮৫ কেজি, জব্দকৃত মালামাল (অন্যান্য) নৌকা ২ টি, জব্দকৃত মালামালের নিলাম প্রক্রিয়া চলমান।

জেলার ৪ উপজেলায় মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে ১২৬ টি। মোট মামলা হয়েছে ২৪২৯ টি। মোট কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ১ হাজার ৭৭৪ জন। মোট অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৭৫৬ জন। মোট অর্থ দন্ডের পরিমান ৩৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৫’শ টাকা। জব্দকৃত জালের পরিমান ৯৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭’শ মিটার। জব্দকৃত মাছের পরিমান ২ হাজার ৪৫৬.৫০ কেজি। মোট নৌকা আটক করা হয়েছে ৩৩ টি, ট্রলার ৪৪ টি ও স্পিডবোর্ট ১৮ টি। জব্দকৃত মালামালের নিলামকৃত আয় ২৭ লক্ষ ৮ হাজার টাকা।