শনিবার, ১০ই জুন, ২০২৩ ইং, ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২১শে জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
শনিবার, ১০ই জুন, ২০২৩ ইং
ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছয়গাঁও ইউনিয়নের মনুয়া

বড় ভাইয়ের সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে

বড় ভাইয়ের সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বড় ভাইর সম্পত্তি দখলের চেষ্টা ও ঘর তুলতে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে ছোট দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় জোড় করে পুকুরের মাছ, জমির ফসল ও গাছ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি। উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের মনুয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শরীয়তপুর আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

অভিযোগটি উঠেছে মনুয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে এলেম হাওলাদার (৪৯) ও হালিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগি পরিবার অভিযোগ করে জানান, ছয়গাঁও ইউনিয়নের মনুয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হাওলাদারের চার ছেলে তিন মেয়ে। ইব্রাহিম হাওলাদারের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া ১৪ নং মনুয়া মৌজায় ৫৪১ শতাংশ জমি তার ছেলে মেয়েরা ভাগ-বাটয়ারা করে ভোগ করে আসছিলেন। বর্তমানে বড় ছেলে মোস্তফা হাওলাদার যে সম্পত্তি পেয়েছেন তার বেশিরভাগ সম্পত্তি জোর করে ভোগদখল করার চেষ্টা করছেন ছোট দুই ছেলে এলেম হাওলাদার ও হালিম হাওলাদার এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগি পরিবারের। এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগি পরিবার।

শুধু তাই নয় মোস্তফা হাওলাদার ১৯৮৮ সালে তার ছোট চাচা আব্দুল মজিদ হাওলাদারের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই জমিতে পাকা ভবন করতেও বাঁধা প্রদান করেছেন এলেম হাওলাদার ও হালিম হাওলাদার। প্রতিবাদ করলে মোস্তফা হাওলাদার ও তার পরিবারকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন এলেম ও হালিম।

ভুক্তভোগি মোস্তফা হাওলাদার (৭০) বলেন, ১৯৮৮ সালে আমি আমার ছোট চাচা আব্দুল মজিদ হাওলাদারের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করি। সেই জমিতে পাকা ভবন করতে গেলে একাধিকবার বাঁধা সৃষ্টি করেছে ছোট ভাই এলেম ও হালিম। জোড় করে আমার পুকুরের মাছ ও জমির ফসল, গাছ নিয়ে যাচ্ছে ওরা। বর্তমানে তারা আমার বসতবাড়িসহ পুকুর, ফসলি জমি দখলের চেষ্টা করছে। প্রতিবাদ করলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন এলেম ও হালিম।

এলেম হাওলাদার বলেন, সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা না করে ঘর তুলছেন আমার বড় ভাই মোস্তফা হাওলাদার। এ ব্যাপারে একাধিক দরবার সালিশ হয়েছে। মিমাংশা না হওয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা বড় ভাইর জমি দখলের চেষ্টা কখনই করিনি। আমারা কোন রকমের হুমকিও দেইনি। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সেইটাই আমরা মেনে নেব।

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম রাশিদুল বারি বলেন, ওই ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তবে উভয় পক্ষ আমাকে বিষয়টা অবগত করেছে।


error: Content is protected !!