
শরীয়তপুর লকডাউনের ২য় দিনে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই কঠোর ভূমিকা রাখেন শহরের পালং বাজারে ।
শুক্রবার ২ জুলাই জেলার সবচেয়ে বড় পালং মাছবাজারে স্বাস্থ্যবিধি ফেরানোর সেই গল্প তুলে ধরেছেন মনদীপ ঘরাই।
‘গতকালের ১ জুলাই মতো লকডাউন বাস্তবায়নে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাঠে নেমেছি সকাল আটটায়, শরীয়তপুর জেলা শহরের প্রধান বাজার হলো পালং বাজার। এখানে বেশ বড় একটি মাছ বাজারও আছে। সেখানে ঢুকে বেশ অবাকই হতে হলো।
এত প্রচার, এত অভিযানের খবর এই মানুষগুলোর কাছে পৌঁছায়নি বলেই মনে হলো। ২’শর বেশি মানুষ উৎসবের আমেজে মাছ কিনছে। একটু চ্যালেঞ্জই অনুভব করলাম এদেরকে শৃঙ্খলায় আনা কঠিনই বটে। তবে, কঠিন কাজটা আধা ঘণ্টার মধ্যেই করেছি।
চারপাশ খোলা মাছ বাজারের চারদিক দড়ি দিয়ে বেঁধে আটকে দিয়েছি সব প্রবেশপথ। এরপর ক্রেতাদের এই সীমানার বাইরে দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড় করিয়েছি। আর বাজার কমিটি থেকে দুজনকে বসিয়েছি প্রবেশ দ্বারে। এরপর বিশজনকে ঢুকতে দিলাম মাছ কিনতে। যে কয়জন কেনা শেষ করে বের হবে, সেই সংখ্যক মানুষ ঢুকবে লাইন থেকে। অর্থাৎ ২’শ জনের ভিড়ভাট্টার বাজার বদলে গেল ২০জনের সুশৃঙ্খল বাজারে।
লোকমুখে শুনতে পাই, ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলেই নাকি আবার আগের মতো করে ফেলতে চায় সবাই। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার গিয়ে দেখলাম। সব ঠিকঠাক রেখেই বাজার শেষ হয়েছে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা জুইতি, বাসিত মোহাম্মদ এবং সাথে থাকা র্যাব ও বিজিবির সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এ প্রশান্তি অন্যরকম। আপনাদের জন্য মাঠে আছি। আপনারা ঘরে থাকুন।