Monday 30th June 2025
Monday 30th June 2025

অবশেষে সেই সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক

অবশেষে সেই সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক
অবশেষে সেই সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন প্রধান শিক্ষক

অবশেষে খাদিজা বেগম নামের সেই সহকারী শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলাম।

শনিবার ২৪ জুলাই দিবাগত রাতে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ হয়।

এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, স্থানীয় আজহারুল গাজী, ইউসুফ মোল্লা, নাজমুল বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আযহারুলের প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই খাদিজা-আযহারুলের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। বিয়েতে উকিল বাবা হন স্থানীয় আজাহার গাজী।’

স্কুল শিক্ষিকা খাদিজা বেগম মুঠোফোনে দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ‘আমরা বিয়ে করেছি। বিয়েতে ছয় লাখ টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছে। আর উশুল ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। আমি প্রধান শিক্ষককে বিয়ে করে খুবই খুশি হয়েছি। তাকে নিয়ে আমি সুখে সংসার করতে চাই।’

এর আগে বিকালে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের (৫৬) বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ এনে সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা বেগম (৩৫)।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকে ওই সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২২ জুলাই বিকেলে প্রধান শিক্ষক আযহারুলের স্ত্রী ও সন্তান তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়ি ফাঁকা থাকায় রাতে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে মোবাইল করে তার বাড়িতে আসতে বলেন। আযহারুলের কথামতো রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকা সেখানে আসেন। তখন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ- করেন আযহারুল।

আযহারুল ইসলাম সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন ব্যাপারীর কান্দি গ্রামের আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে। তিনি তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিকে শিক্ষিকা খাদিজা বেগম একই ইউনিয়নের চরসেনসাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।