
শরীয়তপুরের চিকন্দী ইউনিয়নের সন্ত্রাসী রমিজ খাঁ ওরফে কানা রমিজ (৭৫) ও মোদাসছের খাঁ(৫০)-এর চাদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ খানসহ তার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসী রমিজ খাঁ ও মোদাসছের খাঁ বাহিনীর লোকজন। গত ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার যুবলীগের বর্ধিত সভায় ফরহাদ খানসহ তার কর্মীরা যোগ দিতে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফরহাদ খান ও তার কর্মীরা। ফরহাদ খানসহ তার কর্মীরা অভিযোগ করেন, চিকন্দী ইউনিয়নের আবুরা গ্রামেই জন্ম আব্দুল আজিজ খাঁর ছেলে রমিজ খাঁ ওরফে কানা রমিজের। চিকন্দী ইউনিয়নসহ আশপাশের ইউনিয়নের মানুষের কাছে এটি একটি আতংকের নাম। কানা রমিজের ভয় দেখিয়ে ওই অঞ্চলের মায়েরা তাদের বাচ্চাদের ঘুম পাড়ায় । তারা বলেন, কানা রমিজের ৯ ছেলে আছে। তারা হলো- ১ম স্ত্রীর ঘরে মোদাসছের খাঁ, জাহাঙ্গীর খাঁ, নূরুজ্জামান খাঁ, ওয়াহেদ খাঁ; ২য় স্ত্রীর ঘরে আলমগীর খাঁ, বাবুল খাঁ, আলী আজম খাঁ, আজিজুল খাঁ এবং ৩য় স্ত্রীর ঘরে রয়েছে এক ছেলে ইকবাল খাঁ। এরা প্রত্যেকেই কুখ্যাত অপরাধী। এমন কোনো অপরাধ নেই এরা করতে পারেনা।
তারা আরও বলেন, কানা রমিজ খাঁর নাম শোনেনি চিকন্দী ইউনিয়নসহ আশপাশের এমন কোনো এলাকার মানুষ নেই।
তার এবং তার ছেলেদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। চিকন্দী বাজারের বড় ব্যবসায়ী, ছোট ব্যাবসায়ী, চা- পানের দোকানদার, দুধ ওয়ালা, মুচি থেকে শুরু করে ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকেও দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা আদায় করে আসছে কানা রমিজের সন্ত্রাসী বাহিনী। এই গ্রুপের সেকেন্ড ইন্ড কমান্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছে রমিজ কানার সেজো ছেলে মোদাসছের খাঁ। মোদাসছের খাঁর নিকট চিকন্দী বাজারে টাকা পায়না, এমন ব্যবসায়ী খুব আছে। কেউ কেউ তার ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পায়। তবে কিছু কিছু পাওয়ানাদার ও রমিজ বাহিনীর অত্যাচারের শিকার রমিজ খা বাহিনী ও তার ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছেন প্রশাসনের নিকট।
ঔষধ ফার্মেসী ব্যবসায়ী দিলীপ দাড়িয়া বলেন, আমি ২-৩ বছর যাবৎ মোদাসছের খাঁর নিকট ঔষধ বাবদ ৮’হাজার টাকা পাই কিন্তু সে দেয় না। চা দোকানদার আলামিন বলেন, মোদাসছের খাঁ লোকজন নিয়ে এসে আমার দোকানে চা খায়, কিন্তু আমার ৪’হাজার ৭০০ পাওয়ানা টাকা চাইলে ধমকি দেয়। মৃত কামাল মাদবরের মা বলেন, আমার ছেলে গাছ বাবদ ৪৫’হাজার টাকা পেলেও মোদাসছের খাঁ আমার ছেলের মৃত্যুর পরেও শোধ করেনি। তামিম ফার্নিচার দোকানদার জসীম মাদবর বলেন, আমি মোদাসছের খাঁর নিকট ২৩’হাজার টাকা পাই ও তার ভাই আজিজুল খার নিকট ৪’হাজার টাকা পাই কিন্তু দেই দিচ্ছি বলে কোন খবর নেই। খাবার হোটেলের শাহজাহান ছৈয়াল ৩’হাজার ৮০০ টাকা চাইলে মোদাসছের খাঁ দোকানে হামলা করে। এভাবে আজিজুল চা-পানের দোকানে ২’হাজার ৬০০ টাকা, রনি সরদার তার স্ত্রী ডিভোর্সের ১০’হাজার টাকা, ছোট সন্ধিপ এলাকার হালান সিকদার ৩৫’হাজার টাকা ও আব্দুল বারেক হাওলাদারের ঘর পুড়ে যাওয়ার সরকারি অনুদানের ৭৫’হাজার টাকা মোদাসছের খাঁ আত্মসাত করে।