
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চর পায়াতুলী বারিকান্দি গ্রামের মো. মতিউর রহমান খানের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগটি উঠেছে উপজেলার সখিপুর থানার ডিএম খালি ইউনিয়নের চর পায়াতুলি বারিকান্দি গ্রামের সারোয়ার হোসেন খান গংদের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চর পায়াতুলী বারিকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. মতিউর রহমান খানকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর পায়াতুলী বারিকান্দি গ্রামের মো. মতিউর রহমান খান (৭৫) সঙ্গে একই গ্রামের রেজাউল হক খানের (৫০) দীর্ঘদিন যাবত ৮৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মূলত জমির মালিক মতিউর রহমান খান। কিন্তু মতিউর রহমান খানের সেই জমি রেজাউল হক খানকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাশালী সারোয়ার হোসেন খান (৪৫) বেশ কয়েকদিন যাবত পায়তারা করছে।
সেই মোতাবেক গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সারোয়ার হোসেন খান তার লোকজন নিয়ে মো. মতিউর রহমান খানের ঘরে আগুন দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেয় এমনটাই অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে মতিউর রহমান খানকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে মো. মতিউর রহমান খান বলেন, সখিপুর থানার চর পায়াতুলী মৌজার ৪৪৯৬ ও ৪৪৯৭ নং বিআরএস এ ৮৭ শতাংশ জমি নিয়ে রেজাউল হক খান গংদের সাথে আমার বিরোধ। মূলত ওই জমির মালিক আমি। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ হয়ে ওই জমি রেজাউল হক খানগংদের পাইয়ে দেয়ার জন্য পায়তারা করছে সারোয়ার হোসেন খানরা। গত শুক্রবার সারোয়ার হোসেন খান, খোকন খান, রিয়াদ খান, লিখন খানসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে। এখন আবার বিভিন্ন মামলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ঘটনায় সারোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে আমি সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে, সরোয়ার হোসেন খান বলেন, মতিউর রহমান খানদের সাথে আমাদের পূর্ব শত্রুতা থাকায় তারা আমাদের ফাঁসানোর জন্য নিজেরা মারামারি করে তাদের পরিত্যাক্ত ঘর পুড়ে আমাদের দোষারোপ করছে। মতিউর রহমানের ছেলেরা পুলিশে চাকরী করে সে সাহসে আমাদের সব সময় নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়।
ডিএমখালি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. দুলাল মোল্লা বলেন, সরোয়ার হোসেন খান একজন মামলা বাজ। কিছু হলেই গ্রামের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। আমার বিরুদ্ধেও সারোয়ার হোসেন খান মামলা করেছে। মামলা খাওয়ার ভয়ে গ্রামের কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলে না। মতিউর রহমান খানের ঘর যেই পুড়ে থাকুক, তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।
সাখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন বলেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত চলছে।