
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামে সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতার নিজ বাড়িতে পরিবারিক কলহের জের ধরে সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়েছে। উভয় পক্ষের ৪জন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ পৃথ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে আসাদুজ্জামান এরশাদ ও একই পরিকারের সুইটি বেগমের সঙ্গে শুক্রবার দুপুরে বাকবিতন্ডা হয় । পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে আবার দুই পরিবারের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুইটি পরিবারের সাতজন আহত হয়। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে পালং মডেল থানায় দুই পরিবার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে সুইটি বেগমের স্বামী আবুল কালাম ঢালী বলেন, গতকাল সামান্য ব্যাপার নিয়ে সুইটির সাথে ঝগড়া হয়। পরে এরশাদ তার লোক নিয়ে বাসায় ঢুকে আমার স্ত্রী ও মেয়েদেরকে মারধর করে। আমি এ হামলার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান এরশাদ বলেন, আবুল কালাম ঢালী আমার বংশের চাচাতো ভাই। তার সাথে আমাদের বাড়ির অংশ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমি শরীয়তপুর শহরে বসবাস করি, দীর্ঘদিন পরে গত শুক্রবার বিকালে বাড়িতে যাই। আমি বাড়ি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাতেই আবুল কালাম ঢালী আমাকে মারার উদ্দেশ্যে তিনি ও তার পরিবারসহ লোকজন আমার ঘরের উপর হামলা করে।
তিনি বলেন, আমি ডাক চিৎকার দিল আমার অন্যান্য লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাকে রক্ষাকারী আমার খালাতো ভাই অভি ও সীমান্ত আহত হয়। বাড়ির আসবাবপত্র ও মূলবান জিনিস পত্র ভেঙ্গে অনেক ক্ষতি করেছে। খালাতো ভাই আহত অভি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ব্যাপরে থানায় আমি অভিযোগও করেছি।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুরে একই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দু’পক্ষের দুইটি অভিযোগ দিয়েছে থানায়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।