
শরীয়তপুর অবৈধভাবে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল, অকটেন সহ এলপিজি। এই দৃশ্য শুধু এখানেই না জেলার সর্বত্রই দেখা যায়।
জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে শরীয়তপুরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। যার ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
একজন ব্যবসায়ী ওইসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল জ্বালানি তেল বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রি করা যাবে না। অথচ সরকারি এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই শরীয়তপুরের সর্বত্র ছোট-বড় বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। এসকল আইন প্রয়োগ না হওয়ায়,জেলার বিভিন্ন বাজারে ঘটে যাচ্ছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
৩১ অক্টোবর সোমবার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সরকারি খালের পাশে গড়ে ওঠা টিনসেট মার্কেট এর হান্নান তালুকদারের ফটোকপি দোকান ও হান্নান বেপারির মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল, অকটেন সহ এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমরা বিপদে পরে এসব দোকান থেকে পেট্রোল কিনি। এমনিতেই অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে। তার উপর অতিরিক্ত দাম, এক প্রকার জোর করে নেয়। ১২৬ টাকা লিটারের পরিবর্তে ১৪০ টাকা লিটার মূল্য রাখে।
ন্যাযমূল্য নিয়ে কথা বললে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে অবৈধ ব্যবসা করছে। দেখার কেউ নাই। একই অভিযোগ অনেকেরই। এব্যাপারে ফটোকপি ব্যবসায়ি হান্নান তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল কিনে এনে বিক্রি করি। এক ব্যারেল তেলে চার লিটার কাম দিছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এই দামে পাকার মাথা থেকে শুরু করে কোর্ট চত্বরের সবাই বিক্রি করে। কমে বিক্রি করা যাবে না।
একই সারিতে ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক হান্নান বেপারির কাছে পেট্রোল, অকটেন ও এলপিজি গ্যাস বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আপনার মতো অনেক সাংবাদিক আমার আছে। আপনি ভয় দেখান আমাকে। আমি প্রশাসনের ভয় পাই না। যা পরেন, কইরেন।
বিষয়টি জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সহকারী পরিচালক সুজন কাজী বলেন, অনুমোদন ছাড়া কেউ পেট্রোল বিক্রি করতে পারে না। বিষয়টি আমি দেখছি।
এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও উপপরিচালক স্থানীয় সরকার শরীয়তপুরের গাজী শরিফুল হাসানকে বিষয়টি জানালে, তিনি বলেন, আমি এই বিষয়টি ডিসি স্যারের সাথে কথা বলে দেখতেছি।