শরীয়তপুরে একটি হনুমানের আগমণ ঘটেছে। গত পাঁচ মাস থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হনুমানটি সর্বত্র বিচরণ করছে। হঠাৎ করে সদর উপজেলার মনোহর বাজারের কাছে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন হনুমানটি দেখতে ভিড় করছেন। তবে হনুমান এখনও পর্যন্ত কারো কোনো ধরনের ক্ষতি করেনি।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত পাঁচ মাস যাবত জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে ডামুড্যা, নড়িয়া ও সদর উপজেলায় হনুমানটি বেশি দেখা যাচ্ছে।
গত বুধবার থেকে রোববার সদর উপজেলার বেপরিপাড়া, স্বর্ণঘোষ, ধানুকা ও মনোহর বাজারের দিকে হনুমানটির দেখা মিলেছে। কোথায় থেকে কীভাবে এসেছে তা কেউ বলতে পারছেন না। অস্থির এ প্রাণিটি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছে। কখনও গাছের মগডালে, কখনও বাড়ির ছাদে, কখনও দেয়ালের উপরে হাঁটছে। আবার কারো বাড়ির টিনের চালে অবস্থান করছে। হনুমানটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ ও ছুটছে পিছুপিছু। মানুষগুলোকে দেখে হনুমানও অস্থিরতা বোধ করছে না।
পথচারি, শিক্ষার্থী, দোকানদাররা মাটিতে আসার পর অনেকে বাদাম, বিস্কুট ও কলা দিচ্ছেন। কেউ আবার হনুমানটিকে ধরছেন। কেউ কেউ হেন্ডস আপ করছেন। এতে হনুমানটি কিছুটা বিরক্ত হচ্ছে। এলাকাবাসীর ধারণা করছেন যশোর থেকে এসেছে হনুমানটি। ফলের গাড়িতে ফল খেতে খেতে দলছুট হয়ে চলে আসছে। খাবার সমস্যার কারণে লোকালয়ে খাবারের সন্ধানেও আসতে পারে। হনুমানটির মধ্যে এখনও শান্ত ভাব আছে। কারো কোনো ধরনের ক্ষতি করেনি। মানুষের সাথে মিশে গেছে হনুমানটি।
সদর উপজেলার পশ্চিম কোটাপাড়া এলাকার হানিফ খলিফা বলেন, এলাকায় শতাধিক বানর ছিল। যেই বানরগুলো মানুষের বাড়িতে ঢুকে খাবার খেয়ে ফেলত। ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করে ফেলত। হনুমানটি এলাকায় আসার পর সব বানর কোথায় যেন চলে গেছে। এখন আর বানরগুলো দেখা যায় না।
জেলা প্রাণি ও পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, হনুমানের কোনো ধরনের ক্ষতি না করতে গ্রামবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে। গত পাঁচ মাস যাবত হনুমানটি শরীয়তপুরে দেখা যাচ্ছে। হনুমানটি উদ্ধারে আমরা শরীয়তপুর জেলা বন বিভাগকে অবগত করেছি।
জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, হনুমান আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হনুমানটি উদ্ধারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।