
শরীয়তপুর বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ’র এজলাসে প্রয়াত আইনজীবী এড. সুলতান হোসেন মিয়া, এড. এম এম আলী আহমেদ এবং এড. কাজী হুমায়ুন আহমেদ এর ফুল কোর্ট রেফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াত বিজ্ঞ আইনজীবীদের স্মরণে দোয়া এবং তাদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
শরীয়তপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় সিনিয়র দায়রা জজ এজলাসে ২৮ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক আঃ সালাম খান, অতিঃ জেলা ও দায়রা জজ, মোছা মরিয়ম মুন মঞ্জুরী, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস, যুগ্ম জেলা জজ ঝলক রায়, সিনিয়র সহকারী জজ আঃ বাঃ মোঃ নাহিদুজ্জামান, সহকারী জজ মোঃ আব্দুল্লা খান প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম কানিজ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া রূপা ও মুক্তা রানী।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আতাউর রহমান তার সমাপনী বক্তব্য প্রয়াত এড. সুলতান হোসেন মিয়া সম্পর্কে বলেন, একজন মানুষ কতটা মহৎ হলে দলবল নির্বিশেষে সবাই তাকে ভালোবাসে। যে নিজে এমপি নমিনেশন পেয়েও তা অন্যকে দিয়ে দেয়। মরহুম সুলতান হোসেন মিয়া কতটা সৎ না হলে তিনি হজ্ব করে এই ওকালতি পেশা ছেড়ে দিয়েছে। আমি অনেক সিনিয়র বিজ্ঞা বিচারক কেও দেখেছি ৮/১০ বার হজ্ব করে এবং কি অবসরে যাওয়ার পরেও আদালতে প্রাকটিস করতে এসেছে। আমার সৌভাগ্য জেলায় চার বছর থাকার কারনে ফুল কোর্ট রেফারেন্স অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ডিসি হোক, সচিব হোক কারো নামের আগে বিজ্ঞ শব্দটি ব্যবহার হয় না। শুধু মাত্র যারা আইন পেশায় আছেন, তাদের নামের আগে বিজ্ঞ আইনজীবী বা বিজ্ঞ বিচারক বসে।
তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এটা অনেক বড় একটি বিষয়। শুধু স্মরণ সভা করে নয়, এড. সুলতান হোসেন মিয়া’র আদর্শ ধারণ, অনুসরণ, অনুকরণ করতে পারলে তাকে স্মরণীয় করে রাখা যাবে। সব শেষে তিনি তার সন্তান আ.লীগের জনপ্রিয় নেতা ইকবাল হোসেন অপু মিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, মরহুম সুলতান হোসেন মিয়া’র নামে জেলা
শরীয়তপুর প্রয়াত বিজ্ঞ আইনজীবীদের স্মরণে জেলা ও দায়রা জজ’র এজলাসে স্মরণ সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু সহ অতিথিবৃন্দ। ছবি- দৈনিক রুদ্রবার্তা
আইনজীবী সমিতিতে একটি বড় করে পাঠাগার করার প্রস্তাব দেন। যেখানে আইনের সকল ধরনের বই থাকবে। এর মাধ্যমে সে আরো বেশী স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আবু সাইদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি এড. মীর্জা মোঃ হযরত আলী, এড. আবু সাঈদ, এড. মতিউর রহমান, এড. বজলুর রশীদ আখন্দ, এড. রশিদুল হাসান মাসুম, এড. শাহ আলম, এড. জাহাঙ্গীর আলম কাশেম, এড. জহিরুল ইসলাম, এড. ফিরোজ আহমেদ, এড. তাজুল ইসলাম, এড. মোতালেব মাদবর, এড. আলমগীর মুন্সী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াত আইনজীবী এড. সুলতান হোসেন মিয়ার এক মাত্র পুত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুর রব মুন্সি ও জেলা পরিষদের সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সভাকক্ষের নামকরণ হয়তো থাকবে না, আমরা যদি এড. সুলতান হোসেন মিয়া আদর্শ ধারণ করতে পারি, অনুসরণ, অনুকরণ করতে পারি তা হলে আমাদের মাঝে তাকে স্মরণীয় করে রাখতে পারবেন বলে শপথ নেয়ার অঙ্গীকার করেন তারা।