
শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের খলিফাকান্দি এলাকায় নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন একটি প্রভাবশালী মহল। এতে নদীর উভয়তীরের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রতিবাদ করায় ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে মহলটি। অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ করে নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা থেকে ফসলি জমি ও বসত বাড়ি রক্ষায় আশ্বস্ত করছে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ।
জানাগেছে, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় মাসুদ খান, নুর হোসেন শেখ ও খালিল মাদবর। তারা নিজস্ব জমি দাবী করে দীর্ঘদিন ধরে শৌলপাড়া খলিফা কান্দি এলাকার ইট ভাটার পাশে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। বর্তমানে তারা রহিম খলিফার বাড়ি ও ইউনুছ মাদবরের ফসলি জমির মাঝনদীতে ড্রেজার বসিয়ে প্রায় ১৫ দিন ধরে বিরতিহীন ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হচ্ছে।
ইউনুছ মাদবর জানায়, নদীর তীর ঘেঁষে তার চার ফসলি জমি। সেই নদী থেকেই বালু উত্তোলন চলছে। জমি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় বালু উত্তোলনকারীদের বাঁধা দিয়েছিলেন তিনি। তখন খলিল মাদবর ও তার ছেলেরা ইউনুছ মাদবরকে বেশ কিছু সময় আটক করে রাখে।
তেজগাঁও কলেজের সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্র ও রহিম খলিফার ছেলে আরমান খলিফা জানায়, তাদের বাড়ির পাশে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে ঢাকা থেকে এসেছেন। বালু উত্তোলনকারীরা কোন বাঁধা মানছে না। বিরামহীন ভাবে বালু উত্তোলন করেই চলছে। যে কোন সময় তাদের বসত বাড়ি নদীতে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় ফজর আলী খলিফা বলেন, বর্ষাকালে নদীর তলদেশ গভীর করে বালু তুলছে। এর প্রভাব পড়বে নদীর পানি কমে গেলে। তখন নদীর দুই পাশের ফসলি জমি ও বসত বাড়ি ভেঙ্গে পড়বে। কোন আইনে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে তা প্রশাসনের কাছে জানতে চান তিনি।
এই বিষয়ে শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান ভাষানী বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা সোজা কথায় তাদের কাজ বন্ধ না করলে আইন প্রয়োগ করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।