
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ সহকারী জজ আদালত বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষকে নালিশী জমিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন। বিবাদী পক্ষ স্থানীয় কতিপয় দুষ্ট প্রকৃতির লোকের কু-পরামর্শে আদালতের আদেশ অমান্য করে নালিশী জমিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ভাড়াটে লোক দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বাদী পক্ষসহ এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাদী পক্ষ বিবাদী পক্ষ দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আদালতে মামলা করে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৯০ নং চর সখিপুর মৌজার বিআরএস ৫৪৮ নং খতিয়ানের ১৫৪৩৫ ও ১৫৫৩৬ দাগের নাল শ্রেণীর (১৮+৩৭)=৫৫ শতাংশ জমি সখিপুর ছৈয়াল কান্দি গ্রামের মৃত মৌলভী একে আব্দুর রহমান মোল্যার নামীয় সম্পত্তি। মৌলভী আব্দুর রহমান মোল্যার মৃত্যু পরবর্তী তার পুত্র মামলার বাদী আবুল বাশার মোল্যা ও ১ নং বিবাদী মাহমুদুর রহমানের (বড় মিয়া) পিতা ২ নং বিবাদী আবুল কালাম মোল্যার নামে বিআরএস চুড়ান্ত রেকর্ড হয়। আবুল বাশার মোল্যা ১৫৫৩৬ নং দাগের ৩৭ শতাংশ জমির অর্ধেক ওয়ারিশ হিসেবে সারে ১৮ শতাংশ জমির মালিক হয়ে নিজ নামে নামজারি ও সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করে ভোগ দখল কায়েম থাকে। মামলার বিবাদী পক্ষ গত ৫ জুলাই বাদির জমি জোর পূর্বক দখল করে নেয়। এ বিষয়ে বাদী ভেদরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে গত ৮ জুলাই চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেওয়ানী-১৭৩/২০১৮ নং মোকদ্দমা দায়ের করে। আদালত ওই দিনই আদেশে বলেন, বাদী ও বিবাদী নালিশী জমিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখবে এবং ২০ দিনের মধ্যে বিবাদী পক্ষ আদালতে কারণ দর্শাইবে। বিবাদী পক্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নালিশী জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে জহিরুল ইসলাম বেপারীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা অগ্রিম গ্রহন ও মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে হস্তান্তর করেছে। সেই দোকান ঘরে নিয়মিত হোটেল ব্যবসা চলছে।
এ বিষয়ে মামলার বিবাদী মাহমুদুর রহমান (বড় মিয়া) বলেন, ওইখানে পূর্বেই দোকান ঘর ছিল। মাঝখানে কয়েকদিন ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়েছিল। পুনরায় ব্যবসা চালু করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে দোকানদার করেছে। সেটা দোকানদারের ব্যাপার।
এ বিষয়ে দোকানদার জহিরুল ইসরাম বলেন, ৩ লাখ টাকা অগ্রিম ও মাসিক ভাড়া দিয়ে বড় মিয়া মোল্যার নির্দেশেই ব্যবসা করি।