
শরীয়তপুর পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত।
শরীয়তপুর পুলিশ বিভাগ ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তা বৃন্দদের উপস্থিতিতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ জুন ২০২৪ সকাল ১০ টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর আয়োজনে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবন (২য় তলা) পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র কুরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। তারপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স সভাপতি শরীয়তপুর বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো:সালেহুজ্জামান।
স্বাগতবক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত সকলের উন্মুক্ত আলোচনা শুনেন। সেই সাথে পুলিশ বিভাগ সহ বিভিন্ন মামলা সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের সমাধান ও দিকনির্দেশনা দেন কনফারেন্সের সভাপতি বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো:সালেহুজ্জামান।
কনফারেন্সের সমাপনী বক্তব্যে, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো:সালেহুজ্জামান বলেন, একটি ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেসির মধ্যে সেতু বন্ধন হিসাবে এই কনফারেন্স কাজ করে। এই কনফারেন্সে বিভিন্ন ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের যে ক্রুটি বিচ্যুতি গুলো বা যে বিষয়গুলো আমাদের আলোচনার প্রয়োজন। সেই বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করে, আমরা এখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করে মানুষের মাঝে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা।
এসময় তিনি বলেন, মামলা গ্রহণে সকলের সতর্ক হতে হবে। অহেতুক মিথ্যা মামলায় মানুষকে যাতে হয়রানি না করতে পারে। এবং শুধু মিথ্যা মামলা যাতে আদালতে দায়ের করতে না পারে। বিশেষ করে যে মামলা গুলো আমরা এফ.আই.আর দেয়। এটা যেন যথাযথ ভাবেই সঠিক মামলায়, সঠিক আদেশ যেন হয়। যদি কোন মামলা কাউকে হয়রানি করার জন্য হয়। সেগুলো দ্রুত চার্জশিট দিয়ে সামনে ২১১ ধারা করে দেন। দেখি আমরা দুই,একটা ২১১ মামলায় যথাযথ তদন্ত করে আমরা দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করি। তাহলে দেখবেন,আমরা এই অবস্থা থেকে বের হতে পারবো। সুতরাং এটার ব্যপারে আমি আপনাদের দৃঢ়ভাবে আস্বস্ত করতে চাই। আমাদের পক্ষে যেটা করনীয় সেটা আমরা হান্ড্রেড পারসেন্ট করবো।
এসময় তিনি পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম সম্পর্কে প্রশংসা করে বলেন, স্বাক্ষ উপস্থাপনের বেলায় তিনি শুরু থেকেই আন্তরিক আছেন। তিনি এই জেলায় দায়িত্ব পালান করার পর থেকে প্রত্যেকটা সেক্টরে কাজের যে অগ্রগতি বা ত্বরান্বিত সেটা স্পষ্ট দৃশ্য মান। এটা তার সামনে বলা উচিৎ না,তারপরও উনি দায়িত্ব পালান করার পর থেকেই। উনি সব জিনিস সবাইকে সম্মুখে উনি ফেস করার যে সাহসিকতা এটা দক্ষ প্রশাসকের গুরুত্বপূর্ণ। উনি আসার পরে মাদকের বিরুদ্ধে যে শক্তিশালী অবস্থান সেগুলোও অনেক শক্তিশালী হয়েছে। এবং অনেক মাদকের রিকভারি মামলা সেগুলোও অনেক দক্ষতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। তা ভূয়সী প্রশংসা দাবী রাখে। সুতরাং আমরা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেসি সহ অন্যান্য যে অঙ্গ সংগঠন গুলো রয়েছেন। আমাদের যৌথ কাজের মাধ্যমে আমাদের ফলাফল টা পেতে পারি। এই ফলাফল টাই পাবো এই প্রত্যাশাইটা ব্যত্বয় থাকবে। এবং এই সভার মাধ্যমে সবার সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আজকের কনফারেন্সের মাধ্যমে যে আলোচনা গুলো এসেছে। তা বিচারিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সেগুলো যথাযথ ভাবে অনুসরণ করবেন বা পালন করবেন সেই প্রত্যাশাও আমার রয়েছে। সর্বশেষে এই জেলায় ফৌজদারিক বিচার ব্যবস্থা এই পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স সভায় ত্বরান্বিত হোক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
শরীয়তপুর বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো:সালেহুজ্জামান সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান সহ কর্মরত বিচারক বৃন্দ, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডাক্তার আব্দুস সোবহান শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ বৃন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।