
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর পালং গ্রামে মৃত এসকান্দার বেপারির পারিবারিক কবরস্থানের পাকা দেয়াল ভেঙ্গে ও কবর উচ্ছেদ করে কবরের ভিতরে থাকা হার গুলো অন্যত্রে নিয়ে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার কাশেম খান ও বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে । গত ১৮ ই আগস্ট শনিবার এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৬০ নং পালং মৌজার আর,এস ৬০৫ নং খতিয়ানের ২৬৪নং দাগের ও এস,এ ৫০২ খতিয়ানের ২৬৪ নং দাগের ৭৮ শতাংশ জমির রেকর্ডিয় মালিক একরাম আলি বেপারি। পরবর্তীতে বি,আর,এস পর্চায় অনেকগুলো দাগ হয় তার মধ্যে বি,আর,এস ১০৩৪ নং খতিয়ানের ১৮৭০,১৮৭১,১৮৭৫ নং দাগের ১৩.৮৮ শতাংশ জমির মালিক হন একরাম আলি বেপারির ৩ ছেলে সেকেন্দার বেপারি, এসকান্দার বেপারি, সাজাহান বেপারি ও তার ৪ মেয়ে চন্দ্রভান বিবি, সহরজান বিবি, ময়না বিবি, সাহানাজ বেগম এবং ২ স্ত্রী নুরজাহান বিবি, ছটু বিবি। এর মধ্যে এসকান্দার বেপারির পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমি ২৪/১০/২০১১ ইং তারিখে বিক্রি করে দেন তার ভাই সেকেন্দার বেপারির কাছে। পরে এসকান্দার বেপারির কোন জমি না থাকায় এসকান্দার বেপারি ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমকে নিয়ে সেকেন্দার বাড়িতেই বসবাস করতো এবং একই বাড়িতে সহরজান বিবি তার মেয়ে মরিয়মকে নিয়ে বসবাস করতো যার হোল্ডিং নম্বর ০৬৪৩-০২। এর পরে ২০১২ সালে এসকান্দার বেপারি মারা গেলে তার স্ত্রী বিউটি বেগম অন্যত্রে বিয়ে করেন এবং সে খানেই বসবাস করেন। ২০১৮ সালে জুলাই মাসে বিউটি বেগম জাল দলিলের মাধ্যমে কাশেম খানের কাছে বিক্রি করেন।
পরবর্তীতে কাশেম খান ওই বাড়ির খালি জায়গার উপর গত ১ আগস্ট পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন, এর পরে ১১ আগস্ট মরিয়ম বেগমের ঘর সন্ত্রাসী দিয়ে লুটপাট করে ঘরের আসবাবপত্র সব বাইরে ফেলে দিয়ে বাইরে দিয়ে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে দেন। পরে মরিয়ম বেগম থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ গিয়ে তালা খুলিয়ে তাকে থাকতে দেন। কাশেম খান ও বিউটি বেগম কোন ভাবেই প্রশাসন ও সাংবাদিকদের লেখনির কারনে পুরো জমি দখল করতে পারতে ছিল না তখন তারা সুযোগ বুজে মৃত একরাম আলি বেপারি, এসকান্দার বেপারি ও তার মেয়ে এবং স্ত্রীর কবরস্থানের চার পাশের পাকা দেয়াল এবং কবর ভেজ্ঞে দিয়ে ও কবরের হার গুলি অনত্রে নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দখল করার পায়তারা করতে ছিল পরে পালং থানা খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
এবিষয়ে কাশেম খান বলেন, আমি যেই জায়গা কিনছি মৃত এসকান্দার বেপারির কাছে সেই দাগের যায়গার ভিতরে কবরস্থান পরে গেছে তাই আমি কবরস্থান উচ্ছেদ করছি।
পালং থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরউজ্জামান বলেন, কাশেম যেই কবরস্থান ভাংছে সেটা তার দাবী কৃত ক্রয় করা জমি, যেহেতু ওইটা কবরস্থান এবং অভিযোগ আসছে তাই কাজ করা বন্ধ রাখছি।