
“সবুজে বাঁচি, সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, শরীয়তপুর শাখার উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের সদস্যের মাঝে “বৃক্ষরোপন কর্মসূচী-২০১৮” নগরীর কাশিপুর মুসলিম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড শরীয়তপুর শাখার সিনিয়র এ্যাসিষ্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তোফাজ্জল হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও আরডিএস অফিসার মোঃ জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শাখার প্রজেক্ট ইনচার্জ আব্দুল কুদ্দুস খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তরুণ কুমার রায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার, কাশিপুর মুসলিম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুননাহার বেগমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশী বেশী গাছের চারা রোপনের গুরুত্বারোপ করেন। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একটি আর্থিক পতিষ্ঠান হলেও দেশ ও জাতির কল্যাণে বহুবিধ কল্যাণ মূলক কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৮৩ সালে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর আমাদের তিন শতাধিক শাখার মাধ্যমে প্রতিটি শাখায় ৩/৪ হাজার করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় রয়েছে ১/২ টি করে স্কুল ও মক্তব, সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি এলাকায় ২-৩ টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পালন করা হয়। এছাড়াও সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা উপহার যেমন ১ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ১ম ও ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী ছাত্রদেরকে শিক্ষা উপকরণ বা নগদ অর্থ প্রদান করা এবং সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রদেরকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই প্রশিক্ষণসহ গরীব ও প্রান্তিক সদস্যদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। তাই এ ব্যাংক দেশে ও বিদেশে অনেক সুনাম অর্জন করেছে। এ জন্য আমি ব্যাংকের সকল গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বৃক্ষরোপনের উপকারিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং সবাইকে বসতবাবড়ীতে বেশী করে বৃক্ষ রোপনের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, শাখার মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের সদস্যদেরকে ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বছর আম, জলপাই, আমলকি, আমড়া ও পিয়ারাসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফলজ চারা বিতরণ করা হয়।