
শরীয়তপুরে ফকিরের দেওয়া রুটিপড়া খেয়ে দুই জন ও অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তিনজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় রুটিপড়া খেয়ে দুইজন ও বিকাল ৩ টায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তিন জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
তারা হলেন, জাজিরা উপজেলার চরধোপুর গ্রামের নুরু মাদবর (৭০) ও খবির মাদবর (৬০), নড়িয়া উপজেলার বৈশাখীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নড়িয়া উপজেলা হেলথ ইনসপেক্টর আব্দুস সালাম শিকদার (৫৫), বালারগাও গ্রামের বাসিন্দা নড়িয়ার কার্তিকপুর কৃষি ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড খোকন মৃধা (৪৫) ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার হাজতখোলা গ্রামের বাসিন্দা নেভী সিগারেট কোম্পানির সেলসম্যান ফজলুর রহমান শেখ (৫০)।
নুরু মাদবরের ছেলে শাহ আলম বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে প্রতিবেশী আসমত মাদবরের কুটাপাড়া আগুমে পড়ে যায়। পাড়ায় কে আগুন লাগিয়েছে এটা বের করার জন্য আসমত মাদবর, মোস্তফা মাদবর, হারুন মাদবর ও চুন্নু মাদবর মিলে ফকিরের দওয়া রুটিপড়া এলাকার লোকজনকে খাওয়ান। নুরু মাদবর ও খবির মাদবরকে অতিরিক্ত একটি করে রুটি খাওয়ালে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আ. সালাম শিকদারের মেয়ে তানিয়া সুলতানা বলেন, আমার বাবা সালাম শিকদার নড়িয়া সোনালী ব্যাংক থেকে বেতনের টাকা তুলে নড়িয়া থেকে বাসে করে আমার শরীয়তপুর সদরের ধানুকা বাসায় আসতেছিলেন। বাসটি ধানুকা পৌছে বাবাকে বাস থেকে নামিয়ে দিলে বাবা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ধানুকা দোকানের লোকজন বাবাকে একটি ফার্মেসী দোকানে বসিয়ে রেখে আমাদের খবর দেন। পরে আমরা গিয়ে বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার সাথে থাকা টাকা মোবাইল পাওয়া যায়নি।
খোকন মৃধার স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, আমার স্বামী খোকন মৃধা সকালে কর্মস্থলে যান। পরে সেখান থেকে অফিসের কাজে শরীয়তপুর শহরে যান। কাজ শেষে বাসে করে কার্তিকপুর আসার পথে মনোহর বাজারে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ফজলুর রহমান শেখের স্ত্রী রুবি আক্তার বলেন, আমার স্বামী সকালে তার কাজে যান। দুপুরের দিকে আংগারিয়া বাজারে বাস থেকে নেমে টলতে টলতে বাড়ি আসে। বাড়ি এসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অস্বাভিক আচরন করতে থাকেন। পড়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তারা তিনজন একই বাসের যাত্রী ছিলেন।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ফকিরের রুটিপড়া খাওয়া ও অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া সকলেরই একই অবস্থা এবং তারা একই ধরনের উল্টাপাল্টা আচরণ করছেন। তাদের অবস্থা খারাবের দিকে যাচ্ছে। তাদের জন্য যে সকল চিকিৎসা প্রয়োজন তা পুরোপুরি এই হাসপাতালে নেই। তাদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।