
শরীয়তপুরে এক ভয়াবহ অগ্নকান্ডে ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ২টার সময়
জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবী করেছে। শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- তামিম খানের সেনেটারী দোকান, হেলাল মাদবরের চা স্টল, কামরুল ইসলামের মোবাইলের দোকান, আক্তার হোসেনের কম্পিউটারের দোকান, লোকমানের মুদি দোকান, মনিরের চালের দোকান, তাজুল মাদবরের খাবার হোটেল, আক্তার ঢালীর মুদি দোকান, স্বপনের সেলুনের দোকান, মোফাজ্জেল ঢালীর ফুলের দোকান, আব্দুল হাই আকনের মুদি দোকান ও মমিনুল শেখের খাবার হোটেল।
তালুকদার টেলিকমের স্বত্তাধীকারী মো. কামরুজ্জামানের মোবাইলের দোকান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় যাই। রাত আড়াইটার দিকে শুনতে পাই দোকানে আগুন লেগেছে। দৌঁড়ে গিয়ে দেখি আমার দোকানটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানের আয় দিয়েই সংসার চলতো। ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুর রহমান বলেন, শহরের চৌরঙ্গী মোড় একটি মার্কেটে গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে আগুন লাগার ঘটনাশুনে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবুও মোবাইলের দোকান, লেপ-তোষক, সেলুন, মদি দোকান, ফুলের দোকান, হোটেলসহ ১৪ দোকান পুড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের প্রায় এক কোটি টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুর রহমান বলেন, আমরা পুড়ে যাওয়া দোকানের তালিকা করেছি। কিভাবে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ব্যপারে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনার পর শুক্রবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ¦ ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহাবুর রহমান শেখ ও সদরের পালং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।