
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী ও দক্ষ সংগঠক লায়লা এনাম রাত্রি। তার শরীয়তপুর থেকে সাংসদ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি কারণ এবার প্রধানমন্ত্রী শিক্ষিত, ভদ্র, সৃজনশীল ও প্রতিভাবানদেরকে বেছে নিবেন। সেই ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন লায়লা এনাম রাত্রি।
ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তাছাড়া তার পরিবারও আওয়ামী পরিবার। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে লায়লা এনাম রাত্রির বাবা, চাচা এবং মামা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তার নানা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন। তার নানা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুব ভক্ত। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিরা তার নানা জয়নাল ঢালী কে নির্মমভাবে হত্যা করে।
লায়লা এনাম রাত্রি ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। তিনি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘ব্লাড ফর সেভ লাইফ’ সংগঠনের সভাপতি ছিলেন ছাত্রজীবনে। এছাড়াও ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতিক পরিষদ’ ও ‘কণ্ঠস্বর আবৃত্তি সংগঠন‘ এর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
লায়লা এনাম রাত্রির পৈত্রিক বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা থানাধীন গঙ্গানগর ও ছাব্বিশপাড়া গ্রামে। তার বাবা ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। তার খালু আনোয়ার হোসেন উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা, তার চাচাতো ভাই রব ঢালী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
লায়লা এনাম রাত্রি বিভিন্ন গবেষণা মূলক কাজ করেছেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ, মায়েদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, কিশোর ও তরুণদের সামাজিকরন, নারীর ক্ষমতায়ন।
এছাড়াও তিনি একটি বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত। পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই তবে জন্ম শরীয়তপুরের গঙ্গানগরে। তিনি ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (অনার্স), এম.এ (বাংলা সাহিত্য), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এড শেষ করেন। তিনি এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে সরকার ও রাজনীতি বিভাগ অধ্যায়নরত।
তার লেখা বহুল আলোচিত ও উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে ‘স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার’। এছাড়া তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি বই লেখা প্রায় শেষ করেছেন বইয়ের নাম ‘হে জননী, জননেত্রী শেখ হাসিনা’। এই বইটি এবার একুশে বই মেলায় আসবে।
শরীয়তপুরের সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা লায়লা এনাম রাত্রিকে সাংসদ হিসেবে দেখতে চায়। কারণ তিনি একজন সাদা মনের মানুষ এবং মানুষের প্রতি অনেক বেশি দরদী। তিনি অনেক বেশি সৃজনশীল তিনি বিভিন্ন প্রয়োজনে এলাকার মানুষের পাশে থাকেন।
লায়লা এনাম রাত্রিকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি আমার দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালবাসি,আমি আমার জাতিকে আলোকিত উন্নত জাতি হিসেবে দেখতে চাই। কারণ এক সময়ে আমাদের বাঙালি জাতি ছিল পৃথিবীর সেরা। আমরা আবার সেই অবস্থানে পৌঁছে যাব ইনশা আল্লাহ। আমি তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করেন আমি সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ব্যপক ভুমিকা রাখতে পারবো এবং আমি নারী ও শিশু-কিশোরদের জন্য কাজ করবো।”