Monday 30th June 2025
Monday 30th June 2025

সখিপুরে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে আহত ১৪

সখিপুরে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে আহত ১৪

শরীয়তপুরের সখিপুর থানার বাহের চর কদতলী গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক পক্ষ শরীয়তপুর কোর্টে এবং অপর পক্ষ সখিপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছে। ১০ মার্চ রবিবার বিকেল পৌনে ৪টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সখিপুর ক্লিনিক এবং শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আরও বড় ধরণের সহিংস ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় আরিফ মোল্লা এবং নবী মোল্লার সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, সখিপুর থানার বাহের চর কদতলী গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ সরদারের ছেলে মোবারক সরদারের সাথে একই গ্রামের জৈনদ্দিন সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে গত ১০ মার্চ রবিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জলিল সরদারের ছেলে দাদন সরদার (৪৫), দাদন সরদারের ছেলে জাহিদুল সরদার (২৬), রাকিব সরদার (২৫), জৈনদ্দিন সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদার (৬৩), রাজ্জাক সরদারের ছেলে কামাল সরদার (২৮), আল আমিন সরদার (৩৩) মিলে মোবারক সরদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজের এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে সুমন সরদার, তানভীর সরদার, মোবারক সরদার, শিরিনা বেগম, সুরিয়া বেগম, ফরিদ সরদার সহ উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে আহত মোবারক সরদারের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, বাহের চর কদতলী গ্রামের জলিল সরদারের ছেলে দাদন সরদার, জৈনদ্দিন সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদারের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার বিরোধ চলছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে দাদন সরদার, রাজ্জাক সরদার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে তারা আমার উপর হামলা চালায়। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আমার এ ঘটনার বিচার চেয়ে শরীয়তপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেছি। কোর্টে মামলা দায়ের করার কারণে দাদন সরদার এবং রাজ্জাক সরদারের লোকজন আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে দাদন সরদার, রাজ্জাক সরদারের সাথে আলাপ করতে গেলে তাদের কাইকেই এলাকায় পাওয়া যায়নি। তারা সকলে পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে চরকুমারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোল্লার সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমার এলাকায় একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এ কথাটি আমি শুনেছি। একটা পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। অপর পক্ষ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় আছেন। তিনি আসলে উভয়কে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করে দিবেন।
এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হকের সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, চরকুমারিয়া ইউনিয়নের বাহের চর কদতলী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ সখিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অপর পক্ষ শরীয়তপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বলে শুনেছি। কিন্তু কোর্টের কোন নির্দেশনা এখনও আমরা পাইনি। পাইলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।