
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম (৩৬) হত্যা মামলায় জড়িত এজাহারভূক্ত চার আসামীর নাম বাদ দিয়ে চার্জসীট প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগি পরিবার। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় শরীয়তপুর ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী ও নিহত আমেনা বেগমের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত আমেনার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী নজরুল ইসলাম মাদবর, দেবর সজল মাদবর, জা মাজেদা বেগম, ননদ সাহানা বেগম ও রাজিয়া বেগম মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাটকিয় কায়দায় হত্যা করেন আমেনাকে। এ হত্যাকান্ডের সময় মাজেদা, রাজিয়া উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আমার বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি তারা। বিয়ের পর থেকেই সজল, মাজেদা, সাহানা ও রাজিয়া আমার বোন যাতে নজরুলের সাথে সংসার করতে না পারে সেজন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। আমার বোনের নামে নানা অশ্লিল কথাবার্তা বলে তার স্বামী নজুরুলকে ক্ষেপিয়ে তোলে তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মামলায় পুলিশ তাদের কোন দায় না দিয়ে অব্যাহতির আবদেন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
সাংবাদ সম্মেলেেন উপস্থিতি ছিলেন, আমেনা বেগমের ভাই মামলার বাদী সুলতান মাদবর, রিয়াদ মাল, হাজী আবুল হাসেম হাওলাদার, মো. পীর বক্স হাওলাদার, ছবর আলী মাদবর, মজিবুর রহমান আকন প্রমুখ।
উল্লখ্য, ১৩ বছর আগে ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত হোসেন মাদবরের ছেলে নজরুল ইসলাম মাদবরের সঙ্গে একই ইউনিয়নের গঙ্গেসকাঠি গ্রামের মৃত আজিদ আলী মাদবরের মেয়ে আমেনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের নয়ন মাদবর নামে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টার দিকে আমেনাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্বামী নজরুল। হত্যার সময় ও পরে ফেসবুক লাইভে আসেন নজরুল। লাইভে তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে খাটের ওপর তোশক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখান। এক পর্যায়ে তাকে গান গাইতে দেখা যায়। পুলিশ এসে দরজা খুলে নজরুলকে গ্রেফতার করে এবং আমেনা বেগমকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ওইদিন বিকেলে আমেনার বড় ভাই সুলতান মাদবর বাদি হয়ে ডামুড্যা থানায় পাঁচজনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। কিন্তু মামলার চার্জসীটে পুলিশ নজরুলকে রেখে, বাকি চার আসামীকে তাদের কোন দায় না দিয়ে অব্যাহতির আবদেন করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডামুড্যা থানার এসআই মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমেনার পরিবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় আমেনার স্বামী নজরুল ইসলাম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর বাকি চার আসামী সজল, মাজেদা, সাহানা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে কোন তথ্য না পাওয়ায় মামলায় তাদের চার্জসীট থেকে বাদ দেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |